সাম্প্রতিককালে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। সংবাদপত্র ও মিডিয়ার কল্যাণে প্রায় প্রতিদিন ধর্ষণের ঘটনা পড়তে হয়। লালসা চরিতার্থ করার জন্য ধর্ষণ এবং প্রতিহিংসা মেটানো বা অন্য কোন কারণে ধর্ষণ। বর্তমানে প্রতিহিংসা ঘটনা বা অন্য কারণে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অনেক সময় অপহরণ করে কোথাও আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অনেক সময় ধর্ষণের পর ভিকটিমকে হত্যা করা হয়। কেন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে নারীর প্রতি চরম অপমানকর এই নির্যাতন? অনেক কারণের মতো অন্যতম একটি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের অভাব, ধর্ষণ-সংঘটিত হলে ভিকটিম ও তার আত্মীয় স্বজনেরা ঘটনাটি চাপা দিতেই সচেষ্ট থাকে বেশি। ইচ্ছা থাকলেও ভোগান্তির ভয়ে অনেকে থানায় যায় না। অনেকে মামলা নিতেও অস্বীকার করে। মামলার ভিকটিমকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করান না। পুলিশ আসামি ধরলেও খুবই সহজে তারা কোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। জামিনে এসে মামলা প্রত্যাহার এর হুমকি দেয়। অনেকের বিয়ে ভেঙে যায়। অনেকে স্বামী পরিত্যক্তা হয়। পারিবারিক জীবনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে অনেকে অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। পরিবারের অন্য সদস্যদের উপরও এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। ধর্ষণ-নারী পুরুষের জীবন নষ্ট করে দেয়। নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর ও নির্যাতন বন্ধ করতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ। তাই প্রয়োজন যুগোপযোগী আইন এবং তার কঠোর প্রয়োগ। প্রত্যেক থানায় যাতে ধর্ষণ ঘটনাকে যথোপযুক্ত গুরুত্ব দেয়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এম. এ.গফুর, কোরবাণীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।