আনোয়ারায় ২৫ বছরের এক তরুণী সিএনজি টেক্সিতে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হলে গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে রক্ষা করেন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কেইপিজেড এর একটি পোশাক কারখানায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে ঐ তরুণী সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার সময় এ ঘটনার শিকার হন।
জানা যায়, টেক্সি চালকের সঙ্গে সহযাত্রী অন্য আরেক যুবক মিলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তিনি টেক্সি থেকে লাফিয়ে পড়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চালক ও যুবক দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার ১ ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি সড়কে বসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। পরে বিকেলে স্থানীয় এক ব্যক্তির সহায়তায় তিনি আনোয়ারা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসে ভুক্তভোগী আনোয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তার মুখের একটি দাঁত ভেঙে যায়। এছাড়া তার মুখের অন্যান্য স্থানেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বিকেলে আনোয়ারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি বাঁশখালী ছনুয়া ইউনিয়নে। বুধবার সকাল ৮টায় কর্ণফুলী উপজেলার ব্রিজঘাট এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে কোরিয়ান কেইপিজেডের একটি কারখানায় নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষার তারিখ পেছানোর খবর পেয়ে সেখানে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর দুপুর ১২টায় চাতরি চৌমুহনী যাওয়ার জন্য কারখানার গেইটে দাঁড়ানো একটি সিএনজিতে উঠলে আরেকজন যাত্রী নিয়ে সিএনজি রওনা দেয়। এ সময় চালক চাতরি না নিয়ে বারশতের বোয়ালিয়ার দিকে নিয়ে যায়। সেখানে চালক আর অজ্ঞাত যাত্রী মিলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে তিনি গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে চিৎকার শুরু করে। এতে তিনি আহত হয়ে নাকে ও মুখে আঘাত প্রাপ্ত হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।