জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বন্দরের সহায়তা প্রতিষ্ঠান ১৯ আইসিডিতে পণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। বিদ্যমান পরিস্থিতি লাগাতার হলে চট্টগ্রাম বন্দর আবারো ভয়াবহ কন্টেনার জটের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দরে দৈনিক গড়ে ৫ হাজার টিইইউএস কন্টেনার খালাস হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়া কন্টেনারের ৮০ শতাংশ সড়কপথে, ১৮ শতাংশ সমুদ্রপথে এবং মাত্র ৪ শতাংশ রেলপথে পরিবাহিত হয়। প্রতিদিন প্রায় আট হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং প্রাইম মুভার সড়ক পথে কন্টেনার পরিবহন করে। গতকাল সকাল থেকে শুরু হওয়া পরিবহন ধর্মঘটে এই মহাযজ্ঞ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্দর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪১৬ টিইইউএস আমদানিকৃত কন্টেনার জাহাজ থেকে নামানো হয়েছে। একইসাথে ৩ হাজার ৭০৯ টিইইউএস কন্টেনার জাহাজে বোঝাই করা হয়েছে। জাহাজ থেকে নামানো হলেও বন্দর ইয়ার্ড থেকে গতকাল কোন কন্টেনার সরবরাহ হয়নি। এতে করে ইয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতার উপর চাপ পড়তে শুরু করেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউএস। গতকাল ইয়ার্ডে কন্টেনার ছিল ৩৪ হাজার ৭৩৮ টিইইউএস। কন্টেনার ডেলিভারি দুই তিনদিন বন্ধ থাকলেই সংকট প্রকট হয়ে উঠবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক কন্টেনার ডেলিভারি বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, তবে বন্দরের অন্যান্য নিয়মিত কার্যক্রম চলছে। পরিবহন ধর্মঘট লাগাতার হলে সংকটে পড়ার আশঙ্কার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।











