পেট্রোল পাম্প মালিকদের দেশব্যাপী ৮ ঘণ্টার ধর্মঘট চলাকালে গতকাল চট্টগ্রামে সকল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সকল পেট্রোল পাম্প বন্ধ ছিল। ধর্মঘট চলাকালে কোনো গাড়িতে তেল দেওয়া হয়নি চট্টগ্রামের পাম্পগুলোতে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ধর্মঘট চলাকালে পেট্রোল পাম্পগুলোর কর্মচারীরা বাইরে বসে খোশগল্পে মেতেছিলেন। ধর্মঘট সম্পর্কে অনেক গাড়ির ড্রাইভার ও মালিকের পূর্বে থেকে জানা না থাকায় ধর্মঘট চলাকালে তারা পাম্পে গেলে তাদেরকে তেল দেওয়া হয়নি। ২টা পর্যন্ত পাম্পের সামনে তাদেরকে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প এবং ট্যাংক লরি মালিক ঐক্য পরিষদ ১০ দফা দাবিতে গতকাল ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করে। দুপুর ২টা পর্যন্ত ধর্মঘট চলে। দুপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক বলেন, বিপিসি আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কমিশন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া তারা বিপিসিকে তাদের অন্যান্য দাবি আগামী দুই মাসের মধ্যে পূরণের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছেন।
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আবারও ধর্মঘটে যাবেন তারা। পেট্রোল পাম্প মালিকদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তেল বিক্রয়ের ওপর ন্যূনতম কমিশন ৭ শতাংশ করা এবং সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে জমির ইজারা মাশুল কমানো।
অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে পরিবেশ অধিপ্তর, কলকারখানা অধিদপ্তর কিংবা ফায়ার সার্ভিস থেকে লাইসেন্স নেওয়ার বিধান বাতিল; পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নেওয়া জমির নবায়ন সহজ করা; বিএসটিআই শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট, স্ট্যাম্পিং এবং পরিমাপ যাচাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে; যত্রতত্র জ্বালানি তেল বিক্রয় বন্ধ করতে হবে এবং কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় ট্যাংক লরি থামানো যাবে না।