বাঁচার যুদ্ধে লড়ছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাই ৮৫ বয়সের সৌমিত্রকে নিয়ে বেড়েই চলছে দুশ্চিন্তা আর আশঙ্কা। অবশ্য এরই মধ্যে রটেছে কিংবদন্তি এই অভিনেতার মৃত্যুর গুজব। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিত্তিহীন এই খবর। এরপরই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, পুরোদমে ফাইট করছেন ফেলুদা’খ্যাত সৌমিত্র। খুলে নেওয়া হয়েছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট অর্থাৎ ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেই তিনি। খবর বাংলানিউজের।
করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সৌমিত্রের শরীরে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। কখনও তিনি স্থিতিশীল তো কখনও সঙ্কটজনক অবস্থায়। গভীর দুশ্চিন্তায় তার পরিবার। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অভিনেতাকে নিয়ে এই ধরনের গুজবে তারা খুবই হতাশ। যে কারণে সৌমিত্রকন্যা পৌলমী সবার কাছে অনুরোধ করেছেন, তার বাবাকে নিয়ে এই চর্চা বন্ধ রাখতে। তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘করোনা আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগে রয়েছি। এর মধ্যেই আইসিইউতে থাকা বাবার ছবি বা তার মেডিক্যাল বুলিটিন ছড়িয়ে পড়ছে সোস্যাল মিডিয়ায়। দয়া করে এমন তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন, রক্ষা করুন, সৌমিত্রবাবুর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সম্মান রক্ষা করুন। একদিকে যেমন সৌমিত্রকে নিয়ে রটছে গুজব, তেমনই আবার প্রিয় অভিনেতার সুস্থতা কামনা করে চলছে প্রার্থনাও। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ফুসফুসের সংক্রমণ আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে অভিনেতার। গতকাল করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিনের মাথায় আবার তার করোনা পরীক্ষা করা হবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই সৌমিত্রের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। ৯ অক্টোবর থেকে তার অবস্থার অবনতি হয়। তার অবস্থার উন্নতির জন্য বেলভিউয়ের ১০ জন চিকিৎসক এবং কলকাতার অন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের আরও ৬ জন চিকিৎসক মিলিয়ে মোট ১৬ জনের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।