চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষ আওয়ামী সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তাই উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের নৌকা নিজেরাই উঠিয়ে নিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে মানুষ এবার নৌকাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা দেশের জনগণকে উপেক্ষা করে যেকোনো উপায়ে বিদেশি রাষ্ট্রের সমর্থন জোগাড় করতে ব্যস্ত। দেশে দেশে ধরনা দিয়ে কাকুতি মিনতি করছে। ডামি ভোটের নকল সরকার হীনম্মন্যতায় ভুগছে। প্রতারণার ডামি নির্বাচনে ভোট বর্জন করায় জনগণকে শায়েস্তা করছে সরকার।
গতকাল বুধবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি ও সংসদ বাতিলের এক দফা দাবিতে আগামী ২৭ জানুয়ারি (শনিবার) কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শাহাদাত। তিনি আগামী শনিবার বিকাল ৩টায় কালো পতাকা মিছিল সফল করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী সিন্ডিকেট কবলিত বাজারদরের এখন ভয়াবহ অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। ধার দেনায়ও সংসার চালাতে পারছে না। ৭ জানুয়ারির পর থেকে মানুষে যেটিতে খেয়ে পড়ে বাঁচবে সেই জায়গাগুলোকে টার্গেট করে তারা সেটার দাম বৃদ্ধি করেছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের লোকেরা ভোট ডাকাতির নির্বাচনে সহযোগিতা করে এখন ফায়দা নিতেই চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। কারণ ডামি সংসদের প্রায় সবাই ব্যবসায়ী। সরকারের টপ টু বটম সিন্ডিকেট করে দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, জাকির হোসেন, বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, জেসমিনা খানম, মো. মহসিন, রমজু মিয়া, আসিফ চৌধুরী লিমন, সামিয়াত আমিন জিসান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
