দ্য ইকোনমিস্ট: একটি পরিচিতি
‘দ্য ইকোনমিস্ট’ একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা যা আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, এবং সমাজনীতি নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করে। এটি ১৮৪৩ সালে স্কটল্যান্ডের জেমস উইলসন প্রতিষ্ঠা করেন, যিনি একজন ব্যবসায়ী এবং লেখক ছিলেন। উইলসনের লক্ষ্য ছিল মুক্ত বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা। বর্তমানে, এটি দ্য ইকোনমিস্ট গ্রুপের অধীনে পরিচালিত হয়, যেখানে প্রধান শেয়ারহোল্ডার হিসেবে Exor NVএর মাধ্যমে ইতালির অ্যাগনেলি পরিবার রয়েছেন।
ঐতিহাসিকভাবে, রথচাইল্ড পরিবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দ্য ইকোনমিস্টের শেয়ারহোল্ডার ছিল। এই তথ্য অনেকেই ভুল করে বর্তমান মালিকানার অংশ বলে মনে করেন। তবে, ২০১৫ সালে Exor NV দ্য ইকোনমিস্টের ৪৩.৪% শেয়ার অর্জন করে।
কন্সপিরেসি থিয়োরি ও দ্য ইকোনমিস্ট:
বিভিন্ন কন্সপিরেসি থিয়োরি দ্য ইকোনমিস্টকে একটি ‘গোপন ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠানের’ অংশ বলে, এ ধরনের তত্ত্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যে রথচাইল্ড পরিবার এখনও গোপনে এর নীতিনির্ধারণে প্রভাব রাখে, বা পত্রিকাটি একটি গ্লোবাল এলিট ক্লাসের পক্ষ থেকে কাজ করে। যদিও এসব দাবি কখনোই প্রমাণিত হয়নি, তবুও দ্য ইকোনমিস্টের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং বৈশ্বিক বিশ্লেষণ অনেকের কল্পনায় এর প্রভাব সম্পর্কে ধারণা তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ কেন এই স্বীকৃতি পেল?
প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে, দ্য ইকোনমিস্ট একটি দেশকে ‘বছরের দেশ’ হিসেবে নির্বাচন করে। এই পুরস্কারটি কোনো দেশের সম্পদ, সুখ বা নৈতিকতার ভিত্তিতে দেয়া হয় না, বরং এমন একটি দেশকে দেওয়া হয়, যা গত ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে। প্রতিবেদকদের মধ্যে এই বিষয়ে তীব্র আলোচনা চলে। পূর্ববর্তী বিজয়ী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে কলম্বিয়া (যারা গৃহযুদ্ধ শেষ করেছে), ইউক্রেন (যারা অনাকাঙ্ক্ষিত আক্রমণ প্রতিরোধ করেছে) এবং মালাওয়ি (যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে)। ২০২৩ সালে, গ্রীসকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিল কারণ তারা দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে এসে একটি সেন্ট্রিস্ট সরকার পুননির্বাচন করেছে।
এ বছর তাদের শর্টলিস্টে পাঁচটি দেশ ছিল। এর মধ্যে দুটি দেশ খারাপ শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। পোল্যান্ডে, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা। রানার–আপ দেশটি দেরিতে প্রবেশ করা সিরিয়া, এবং তাদের বিজয়ী দেশ হলো বাংলাদেশ, যা এক স্বৈরশাসককে উৎখাত করেছে। আগস্ট মাসে, ছাত্রদের নেতৃত্বে রাস্তায় প্রতিবাদে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়, যিনি ১৫ বছর ধরে ১৭৫ মিলিয়ন মানুষের দেশটি শাসন করছিলেন। একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতার কন্যা, তিনি একসময় দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে, তিনি দমনমূলক হয়ে উঠেছিলেন, নির্বাচন জালিয়াতি করছিলেন, বিরোধীদের জেলে ঢুকাচ্ছিলেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রতিবাদকারীদের গুলি করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন। তার শাসনামলে বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরি হয়েছিল।
তবে, এই পরিবর্তন এখন পর্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। একটি অস্থায়ী প্রযুক্তিগত সরকার, যার নেতৃত্বে আছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস, যা ছাত্র, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী এবং সিভিল সোসাইটি দ্বারা সমর্থিত, শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে এবং অর্থনীতি স্থিতিশীল করেছে। ২০২৫ সালে এটি ভারতের সাথে সম্পর্ক পুনর্র্নিমাণ করতে এবং নির্বাচন কখন হবে তা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে আদালতগুলি নিরপেক্ষ এবং বিরোধী দলকে সংগঠিত হওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। এসব কিছু সহজ হবে না। তবে, একজন স্বৈরশাসককে উৎখাত করা এবং আরও উদার সরকারের দিকে পদক্ষেপ নেয়া জন্য বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছে।
এই স্বীকৃতির ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব:
‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে একটি কৌশলগত অবস্থান তৈরি করে।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব: বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং স্বীকৃতি ভারতের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কারণ এটি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতাকে বাড়িয়ে দেবে। বাংলাদেশ যদি তার অর্থনৈতিক শক্তিকে আরও সুসংহত করে, তবে এটি ভারতকে নতুন করে কৌশল নির্ধারণে বাধ্য করতে পারে।
ভারতের হুমকি: ভারত বাংলাদেশের রপ্তানি এবং পানিবন্টন চুক্তি বা সীমান্ত বিষয়গুলোতে নতুন বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, তিস্তা চুক্তির মতো ইস্যুতে চাপ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্র্যান্ডিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে এই স্বীকৃতির মূল্যায়ন:
প্রতিটি দেশেরই একটি ব্র্যান্ড ইমেজ থাকে, এবং এটি প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ‘ব্র্যান্ড ইমেজ’, ‘branding, এবং ‘emotional’ এর মতো শব্দগুলো আমাদের প্রচারণায় আরও ব্যবহৃত হওয়া উচিত। ‘দ্য ইকোনমিস্ট’–এর এই স্বীকৃতি বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং: বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক লিড–সার্টিফায়েড গার্মেন্টস কারখানার মালিক, যা পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে। এছাড়া, দেশের আরএমজি শিল্প আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে।
পণ্য ও সার্ভিস বা সেবা রপ্তানি: গার্মেন্টস থেকে শুরু করে আইটি সেবা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং কৃষি পণ্যে বাংলাদেশকে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।
ব্র্যান্ডিং টার্মিনোলজি: বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং প্রচারণায় ‘সাস্টেইনেবিলিটি’, ‘ইনোভেশন’ এবং ‘ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ শব্দগুলোকে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ‘Made in Bangladesh: Green and Inclusive স্লোগান ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা
বাংলাদেশের জন্য এই স্বীকৃতি যেমন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে, তেমনই কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
সম্ভাবনা: বিদেশি বিনিয়োগ: সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন: নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
টেকসই উৎপাদন: দেশের পরিবেশবান্ধব এবং উন্নতমানের পণ্য তৈরির উদ্যোগ আরও বাড়বে।
চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে না পারলে এই স্বীকৃতির প্রভাব ম্লান হতে পারে।
বৈষম্য: উন্নয়নের সুফল যদি সবার কাছে পৌঁছায়, তবেই এটি অর্থবহ হবে।
পরিবেশগত সংকট: অতিরিক্ত শিল্পায়নের ফলে পরিবেশের উপর চাপ বাড়বে।
বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং: ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি
এই স্বীকৃতি শুধু গর্বের প্রতীক নয়, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং শক্তিশালী করার জন্য জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র জাতীয় পরিচয় তুলে ধরতে হবে, যা দেশের কৃতিত্বকে বিশ্বব্যাপী আরও দৃঢ়ভাবে স্থাপন করবে।
১. টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা
পরিবেশ, সমাজ এবং অর্থনীতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়নকে টেকসই করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ:
পরিবেশগত উদ্যোগ:
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাসের মাধ্যমে দেশের পরিবেশবান্ধব চিত্র তুলে ধরা যেতে পারে।
সামাজিক ভারসাম্য: শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থনৈতিক ভারসাম্য: শিল্প খাতের পাশাপাশি কৃষি এবং সেবা খাতেও সমান গুরুত্ব দিয়ে একটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করতে হবে।
২. তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা
তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যতের স্থপতি। তাই তাদের সম্পৃক্ত করা জরুরি।
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন: তরুণদের জন্য বিশেষ স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন কেন্দ্রিক কারিকুলাম চালু করে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা।
সমাজ সেবা ও নেতৃত্ব: তরুণদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৩. আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যবস্থাপনা
বাংলাদেশের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করতে হবে।
বৈশ্বিক প্রচারণা: সামাজিক মাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প তুলে ধরা।
গণমাধ্যমের সঙ্গে অংশীদারিত্ব: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেশের ব্র্যান্ডিং বাড়ানো।
গল্প বলার কৌশল: মানুষের গল্প, যেমন রানা প্লাজার পুনরুদ্ধার কাহিনি বা গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য, প্রচার করে দেশের ইতিবাচক ইমেজ তুলে ধরা।
৪. শিক্ষা ও গবেষণায় বিনিয়োগ
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।
উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধি: আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠা এবং গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন।
গবেষণায় বিনিয়োগ: উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, মেডিসিন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গবেষণা চালানো।
ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার: প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ এবং ই–লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি।
৫. দুর্নীতি দমন
দুর্নীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান বাধা।
স্বচ্ছ প্রশাসন: ই–গভর্নেন্স এবং স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনা।
জনগণের সম্পৃক্ততা: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
শাস্তির নিশ্চয়তা: দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের জন্য কঠোর আইন ও শাস্তি প্রয়োগ।
৬. ব্র্যান্ডিং স্ট্র্যাটেজি
‘Brand Bangladesh’ প্রচারণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরা।
প্রসঙ্গভিত্তিক স্লোগান:
‘Eco-friendly Bangladesh’, ‘Empowered Workforce’এর মতো স্লোগান তৈরি।
জাতীয় পণ্য ও সেবা: জামদানি, চামড়া, এবং আইটি খাতকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করা।
উৎসবমুখর ইভেন্ট: আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশকে উপস্থাপন করে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা।
৭. সফট পাওয়ার বৃদ্ধি:
সফট পাওয়ার কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
সংস্কৃতি: মসলিন, লোকসংগীত এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা।
খেলাধুলা: ক্রিকেট, ফুটবল, এবং আরচারি ইভেন্টে বিশ্বমঞ্চে সফলতা অর্জন।
পর্যটন: সুন্দরবন, কক্সবাজার এবং পাহাড়ি এলাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
৮.পর্যটন শিল্পে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।
পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ:ইকো–ট্যুরিজম কেন্দ্র তৈরি করা।
পর্যটন সুবিধা: আধুনিক হোটেল, নিরাপদ ভ্রমণ ব্যবস্থা, এবং পর্যটন তথ্য কেন্দ্র তৈরি।
আন্তর্জাতিক পর্যটন প্রচারণা:
বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা এবং সাশ্রয়ী প্যাকেজ।
৯. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক অংশগ্রহণ
বাংলাদেশকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও জোরালোভাবে যুক্ত করা।
ফ্রিল্যান্সিং শিল্পের প্রসার: তরুণদের আইটি খাতে দক্ষ করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ।
বৈদেশিক বিনিয়োগ:
শিল্প খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর ছাড় এবং বিশেষ সুবিধা।
রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ: তৈরি পোশাক, কৃষি পণ্য, এবং ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানি বৃদ্ধি।
১০. উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রসার
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ফান্ডিং এবং ইনকিউবেটর সুবিধা।
ডিজিটাল সেবা: ই–গভর্নেন্স, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং স্মার্ট সিটি প্রকল্প।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: শিল্প ও কৃষি খাতে অও–ভিত্তিক সমাধান ব্যবহার।
এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ‘দ্য ইকোনমিস্ট’–এর স্বীকৃতিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এবং একটি শক্তিশালী জাতীয় ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
লেখক: সিনিয়র ম্যানেজার, স্ট্র্যাটেজিক সেলস, এলিট পেইন্ট এন্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রীজ লিঃ।