পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর হাছান মাহমুদের সঙ্গে এটিই প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত। গতকাল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠকে মন্ত্রী দুই নিকটতম প্রতিবেশীর মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পকের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনগুলোতে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে হাছান বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রার উপর নির্ভরতা কমাতে দ্বি–পাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের স্থানীয় মুদ্রা অর্থাৎ বাংলাদেশের টাকা ও ভারতের রুপি ব্যবহারের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে করে উভয় দেশই উপকৃত হবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। দু’দেশের মানুষের মাঝে যোগাযোগ (কানেক্টিভিটি) ও বাণিজ্যের প্রসারে আন্ত:দেশীয় রেল ও সড়ক সংযোগ স্থাপনে চলমান কাজ দ্রুত সমাপ্তির জন্য আমরা চেষ্টা করছি। খবর বাসসের। এর আগে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দায়িত্ব গ্রহণে অভিনন্দন বার্তা পাঠানোর জন্য ভারত সরকার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানান। বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, সীমান্ত হাটের (সাপ্তাহিক বাজার) সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন তারা। পাশাপাশি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে, সে বিষয়েও কাজ শুরু করার ওপর গুরুত্ব দেন মন্ত্রী।
এদিকে বিডিনিউজ জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রণয় ভার্মা বলেছেন, গত এক দশকে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের যে ‘অভাবনীয় উন্নতি’ হয়েছে, শেখ হাসিনার নতুন সরকারের সময়ে তা আরো এগিয়ে যাবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, “আমরা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী যে, বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদে আমাদের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্ব আগের চেয়ে বেশি গতি পাবে। আমাদের উন্নয়ন অংশীদারত্ব যাতে আমাদের জাতীয় উন্নয়নে আরও বিস্তৃতভাবে অবদান রাখতে পারে, তা করতে আমরা সক্ষম হব।”