দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলার আশা দ. আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের

১৯ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি দু’দল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ৫ মার্চ, ২০২৫ at ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ও দ্বিতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলার স্বপ্ন এখন দু’দলের সামনে। সে সাথে দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতার স্বপ্নও। আর সে লক্ষে আজ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দু দল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে দু দল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল তিন টায়। দীর্ঘ ১৯ বছর পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। এই নিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকানিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০০৬ ও ২০০৯ সালে একে অপরের বিপক্ষে খেলেছিল তারা। দু’বারের মোকাবেলায় একবার করে জিতেছে দু’দল। ফলে এবারে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দু দলের সামনে।

২০০৬ সালে ভারতের অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে দেখা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের। প্রথম দেখায় প্রোটিয়াদের ৮৭ রানে হারিয়েছিল কিউইরা। দলটির তৎকালীন অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের ৮৯ রানের পরও প্রথমে ব্যাট করে ১৯৫ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে নিউজিল্যান্ড বোলারদের দারুণ নৈপুন্যে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে দেখা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের। এবার গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে ৫ উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে প্রথমে ব্যাট করে ২১৪ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েন পার্নেল ৫৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। জবাবে এবি ডি ভিলিয়ার্সের অপরাাজিত ৭০ রানে ৫৩ বল বাকী রেখে ম্যাচ জিতে নেয় প্রোটিয়ারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে মুখোমুখি লড়াইয়ে সমানসমান দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। এবার এগিয়ে যাবার পালা দু’দলের জন্য। এই নিয়ে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ সালে প্রথম আসরেই সেমির স্বাদ নিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রোটিয়ারা। এরপর ২০০০, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৩ সালে শেষ চার থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ২৭ বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলতে না পারার বন্ধ্যাত্ব ঘুচাতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দলের অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা বলেন এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের ফাইনাল খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর আর কখনও সেমিফাইনাল বাধা টপকাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এবার আমাদের সামনে ফাইনালে ওঠার সেরা সুযোগ। আমরা এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে দু দল ছিল দুই গ্রুপে। পাকিস্তানকে হারিয়ে দারুনভাবে শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। পরের ম্যাচে বাংলাদেশকেও উড়িয়ে দেয়। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গ্রুপ রানার্স আপ হয়। অপরদিকে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছিল দক্ষিন আফ্রিকা। পরের ম্যাচটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি হতে পারেনি। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ সেরা হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের আগে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত তিন জাতি ক্রিকেটে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সে হিসেবে আজ প্রতিশোধের পালাও প্রোটিয়াদের সামনে।

এবার সহ চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলছে নিউজিল্যান্ড। ২০০০ সালে দ্বিতীয় আসরে প্রথমবার সেমিতে উঠেই শিরোপা জিতে নেয় কিউইরা। এরপর ২০০৬ সালে সেমিফাইনাল এবং ২০০৯ সালে ফাইনাল খেলে রানার্সআপ হয় ব্ল্যাকক্যাপসরা।

১৬ বছর পর আবারও ফাইনালে খেলার হাতছানি নিউজিল্যান্ডের সামনে। এবার ফাইনাল খেলার ব্যাপারে আশাবাদি কিউইরা। দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার টম লাথাম বলেন আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ওঠার সেরা সুযোগ আমাদের সামনে। আমরা জানি এই পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য কতটা কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমরা জানি দক্ষিণ আফ্রিকা কতটা শক্তিশালী দল। ব্যাটিংবোলিংফিল্ডিংয়ে দারুণ পারফরমেন্স করে তারা সেমিতে এসেছে। আমি নিশ্চিত জমজমাট লড়াই হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমে মাসে আসছে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল
পরবর্তী নিবন্ধঈদের পর বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে