দ্বিতীয় দিনের মতো পতেঙ্গা সৈকতে চলছে হাসানের মুণ্ডুর খোঁজ

আজাদী অনলাইন | সোমবার , ২ অক্টোবর, ২০২৩ at ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

এগার দিন অতিক্রান্ত হলেও পুত্রের হাতে খণ্ডবিখণ্ড হওয়া হতভাগ্য মো. হাসানের মুণ্ডুটি এখনো পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারকৃত হাসানের বড় সন্তান মোস্তাফিজুর জানিয়েছিলেন, কাটা মুণ্ডুটি ফেলার দায়িত্ব ছিল সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী আনারকলির।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো ইন্সপেক্টর মো. ইলিয়াস খাঁন জানিয়েছিলেন ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে পারলে মাথার খোঁজ মিলবে। কিন্তু গতকাল রোববার তিনি আজাদীকে জানান, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আনারকলিকে গ্রেপ্তার করার পর সে জানিয়েছে মুণ্ডুটি কোথায় ফেলেছে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে। দিনভর খুঁজেও লাভ হয়নি।

তিনি বলেন, আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতোও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে পাথরের ভেতর চলছে হাসানের মুণ্ডুর খোঁজ। আশা করি আজ একটা সমাধান পাওয়া যাবে।

ইতোপূর্বে স্বীকারোক্তি দিতে গিয়ে মো. হাসানের বড় ভাই মোস্তাফিজুর বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক ও সাংসারিক নানান বিষয় নিয়ে বাবা, ছোট ভাইসহ আমরা তিনজন চট্টগ্রাম শহরে ছোট ভাইয়ের বাসায় আলোচনা করতে থাকি। একপর্যায়ে বাবার সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়। তখন আমার বাবা আমার গালে থাপ্পড় মারে। এতে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। সহ্য করতে না পেরে দুই হাত দিয়ে বাবার গলা চেপে ধরি। এতে বাবা মারা যায়। প্রথমে বস্তায় বাবার লাশ ঢুকিয়ে রুমের এক কোণায় রেখে রুমটি তালা মেরে বাইরে চলে আসি। এরপর ছোট বোনের জামাই ফোরকানকে কল দিয়ে একটি সিএনজি আনার কথা বলি। ওই সিএনজিতে করে মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। এরপর বাবাকে খণ্ডবিখণ্ড করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে : ফজলে করিম
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে নানা আয়োজনে বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপন