দৈনিক আজাদী শুধু একটি সংবাদপত্র নয়, এটি আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল। এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আজাদী এক উজ্জ্বল নাম। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হয়ে এই কাগজ অল্প সময়ের মধ্যেই পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতেও আজাদী সত্যের পাশে ছিল। আজাদী কখনও আপোস করেনি। ন্যায়, সত্য আর জনগণের অধিকার নিয়ে এটি সবসময় সোচ্চার থেকেছে। গণতন্ত্র রক্ষায় সংবাদপত্রের ভূমিকা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, আজাদী তার নিখুঁত উদাহরণ। পত্রিকার চিঠিপত্র বিভাগে সাধারণ মানুষের কথা প্রতিদিন স্থান পায়। আমার নিজের লেখা বারবার প্রকাশিত হয়েছে এ এক অনন্য সম্মান। এই জায়গা মানুষকে তার মনের কথা বলার সুযোগ করে দেয়।
আজাদী শুধু সংবাদ নয়, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও শিক্ষার অঙ্গনেও সমান অবদান রেখে আসছে। স্থানীয় প্রতিভাদের তুলে ধরতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রযুক্তির যুগেও আজাদী তার পাঠককে ধরে রেখেছে। প্রিন্ট ও অনলাইন দুই মাধ্যমেই সংবাদ পরিবেশনায় তাদের দায়িত্বশীলতা প্রশংসনীয়। আমার লেখা প্রকাশের মাধ্যমে আজাদী আমাকে যে সম্মান দিয়েছে, তা আজীবন স্মরণীয়। এটি আমাকে লেখালেখির পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এই পত্রিকা বেঁচে থাকুক শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, সত্য ও আলোর বাতিঘর হয়ে।