চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রেলস্টেশনের প্রবেশ মুখ থেকে ১৪টি চোরাই স্বর্ণের বারসহ (২২১ ভরি) উত্তম সেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলোর ওজন দুই কেজি ৫৮২ দশমিক ৬৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। গত ২৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক উত্তম পটিয়ার হাইদঘর ব্রাহ্মণঘাটা এলাকার সেন বাড়ির মৃত মানিক সেনের ছেলে। তিনি নগরীর ইপিজেড থানার মহাজনঘাটা এলাকায় থাকেন।
কোতোয়ালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে বলেন, কোতোয়ালী থানার নতুন রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মুখে হোটেল ম্যানিলার বিপরীত পাশে চলাচলের রাস্তায় নিয়মিত আমাদের একটি টিম চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করে। এ সময় গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় উত্তম সেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বর্ণের বারের কথা স্বীকার করেন। পরে তার কাছ থেকে কালো রঙের স্কচ টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা এসব স্বর্ণের বারের সংশ্লিষ্ট দলিল দেখাতে না পারায় তাকে আটক করা হয়।
উত্তম জানিয়েছেন, স্বর্ণের বারগুলো হাজারি গলির বাণিজ্য নিকেতনের এসএন শিল্পালয় নামে একটি গহনা তৈরির কারখানার মালিক সনজিত ধরের। সনজিত পটিয়ার গোবিন্দারখীল রাখাল বাবুর বাড়ির শিবু ধরের ছেলে। সনজিতই উত্তমকে দিয়ে বারগুলো ঢাকায় পাঠাচ্ছিলেন। সেগুলো দেশের বাইরে পাচার করে দেওয়া হতো বলে আমাদের ধারণা। বিদেশ থেকে চোরাচালানির মাধ্যমে এসব স্বর্ণের বার বাংলাদেশে এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের স্বীকারোক্তিও উত্তম দিয়েছে বলে জানান ওসি মহসীন। পলাতক সনজিত ধরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আটক আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।