অন্তর্বর্তী সরকার মাজারে যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিহতের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে সব পুলিশ ইউনিটকে কঠোরভাবে মামলা তদন্ত এবং হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় গত ৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে দেশের মাজার (সুফি কবরস্থান) ও দরগাহে হামলার যে ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। খবর বাসসের।
সরকার দেশের মাজার ও দরগাহ’র নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। গত ৫ মাসে ৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে সারা দেশের ৪০টি মাজারে ৪৪টি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ঘটনাগুলোতে মাজারের সম্পত্তি লুট করা, স্থাপনায় আগুন দেয়া, ভাঙচুর ও ভক্তদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ১৭টি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে সাতটি হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারেই চার বার হামলা হয়েছে।
সংঘটিত ৪৪টি হামলার ঘটনার সব ক’টিতেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এমনকি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন থানায় ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। এসব ফৌজদারি মামলায় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দুটি নিয়মিত মামলায় এরইমধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলমান রয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, সারা দেশের মাজার ও দরগাহের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সব সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ করেছে। স্থানীয়ভাবে বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণ ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচির ওপর জোর দিয়েছে কমিউনিটি পুলিশ।