বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টে ফ্যাসিবাদের দোসররা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান রক্ষায় দেশবাসীকে সোচ্চার ও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩০ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকাল ৩ টার সময় উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উখিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল ফজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহ জাহান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যকে আরও দৃঢ় মজবুত করতে হবে। একটা ষড়যন্ত্রের সময় অতিবাহিত করছি। গণহত্যার বিচার, পাচারকৃত টাকা ফেরত আনা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার করতে হবে। এছাড়াও দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য বৈষম্যহীন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্তাব্যক্তি, দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হত্যাযজ্ঞের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
মাওলানা মুহাম্মদ শাহ জাহান আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারও প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না এবং ‘সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছে।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সুনির্দিষ্ট অপরাধ করেছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। অন্যথায় দেশ ও সমাজের কোনো পরিবর্তন হবে না, এবং অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ নুর মুহাম্মদ আনোয়ারী, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়েত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জাহেদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারী আল আমিন মো: সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা জামায়ের নায়েবে আমীর মাওলানা নুরুল হক ও উখিয়া উপজেলা জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা সুলতান আহমেদসহ জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
এর আগে উখিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল সহকারে কর্মী সম্মেলনে যোগদান করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর কক্সবাজারের উখিয়ায় জামায়াতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
