দেশের সব হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা চিকিৎসকদের

| রবিবার , ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ২:৫৬ অপরাহ্ণ

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দোষীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ।

আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ব্লকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন গতকাল শনিবার থেকে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আমাদের তিনজন চিকিৎসককে নিউরোসার্জারি বিভাগ থেকে মারতে মারতে প্রশাসনিক ব্লকের পরিচালকের রুমে নিয়ে আসা হয়।

সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বহিরাগতরা এসে হাসপাতালে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) এসে ভাঙচুর চালায়। এরকম ঘটনা যদি প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়, আমরা রোগীদের কীভাবে চিকিৎসা সেবা দেবো? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। যেখানে আমাদের নিরাপত্তা নেই সেখানে আমরা কীভাবে চিকিৎসা দেবো?

ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘অনতিবিলম্বে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সব উপজেলা, জেলা সদরসহ সব হাসপাতালে আর্মি নিয়োগ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ করতে হবে। আমাদের কর্মবিরতি চলবে। শুধু ঢাকা মেডিকেলেই কর্মবিরতি নয় সারা বাংলাদেশে এই কর্মবিরতি চলবে। দুপুরে হাসপাতালের বাগান গেটে জমায়েত হব। সেখানে সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া হবে। আপাতত আমাদের কর্মবিরতি চলবে অর্থাৎ কমপ্লিট শাটডাউন।’

ডা, আব্দুল আহাদ আরও বলেন, ‘পরিচালক আমাদের নিশ্চিত করেছিলেন আমাদের ওপরে কোনো হামলা হবে না। কিন্তু তিনি তার সেই কথা রাখতে পারেননি। এখানে আমরা সেনাবাহিনীকে দেখতে পাইনি।’

এর আগে হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসকদের উদ্দেশে সভাকক্ষে আন্দোলনে যেন রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেন। কিন্তু, সেটি কর্ণপাত না করে চিকিৎসকরা জানান, তারা কোনো চিকিৎসা দেবেন না, এই বলে তারা বেরিয়েও আসেন।

চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ দুটি দাবিই মানতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান ঢামেকের চিকিৎসকরা।

এর আগে, শনিবার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত বিইউবিটির শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। চিকিৎসকদের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে এসে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর করেন এবং ভাঙচুর চালান। এতে আহত হন তিন চিকিৎসক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহেশখালী মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক আটক
পরবর্তী নিবন্ধকাপ্তাইয়ে বিএনপি নেতা বহিস্কার