বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কয়েক বছর যাবত দেশের অর্থনীতির মন্দার মধ্যে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাণহানি, সংঘাত ইত্যাদি দেশের অর্থনীতিকে আরও চাপের মধ্যে ফেলছে। চলমান সংকটের আশু নিরসন না হলে দেশের অর্থনীতি আরও গভীর সঙ্কটে পড়বে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মেট্রোপলিটন চেম্বার এসব কথা উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সীমিত পরিসরে দেশের শিল্প কারখানা চালু হলেও তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দেশের ব্যবসায়ী সমাজ উদ্বিগ্ন। এ লক্ষ্যে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছেন সিএমসিসিআই, অন্যথায় শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বেতন প্রদান করা সম্ভব হবে না। এ ধরনের পরিস্থিতির উন্নয়নে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগসহ সার্বিক বিনিয়োগে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সিএমসিসিআই।
এ ছাড়াও জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা জরুরি। কাস্টমস্ সার্ভারের ধীর গতির কারণে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ ধীর গতির কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে সামগ্রিক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা। যার প্রভাব পড়তে পারে দেশের জনগণের জীবনযাত্রা ও আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমের উপর।
তরুণরাই দেশের ভবিষ্যত এবং তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরেই একটি সুস্থ, সুন্দর, অর্থনীতি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আশা করি ছাত্র জনতার আশাঙ্কা পূরণে নবগঠিত উপদেষ্টা মণ্ডলী দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধে সকল স্তরে ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করে দেশের মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনবে।
ব্যবসাবান্ধব সুষ্ঠু পরিবেশ পুনরুদ্ধার, আমদানি–রপ্তানির স্বাভাবিক গতি, আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সিএমসিসিআইও সহযোগী হিসাবে কাজ করত আগ্রহী, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।