প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, একীভূত শিক্ষার স্বপ্ন দেখছিলাম। সেই স্বপ্নকে ঢেলে সাজাতে চাই। স্কুলগুলোকে দৃষ্টি নন্দন রূপে গড়ে তোলা দরকার সবার আগে।এখন শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। স্কুলে স্কুলে কাউন্সিলর নিয়োগের বিষয়টা ভেবে দেখা হবে। দেশের প্রত্যেক স্কুলকে মিডডে মিলের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রাথমিকভাবে ১৫০ টা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করবো।
তিনি গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্র্যাক আইটিডির সহায়তায় গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ‘মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী মূল সঞ্চালনা ও সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে আয়োজিত সারাদেশ থেকে আগত বিভিন্ন পার্টনার সংস্থা, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমার দাশ কর্মসূচির উদ্দেশ্য তুলে ধরে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। টিচার ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হক মূল প্রবন্ধ পড়তে গিয়ে মতবিনিময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এতে তিনি দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতাও সহিংস অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন জ্বলোচ্ছাস বন্যা, করোনার দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব, শিশুমনে এসব ঘটনাবলীর প্রভাব সম্পর্কে মাঠ পর্যায় থেকে ওঠে আসা তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।
মু্ক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, শিক্ষায় ধারাবাহিকগত পরিবর্তন আনতে হবে।কেবল শিক্ষকদেও প্রশিক্ষণ দিলেই হবে না। পরিবারথেকে শিক্ষার পরিবেশে নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকাভিত্তিক মনো সামাজিক কাউন্সিলর নিয়োগ দিতে হবে।
তারুণ্যই পরিবর্তনের জয়বার্তা নিয়ে আসতে পারে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এডুকেশন ওয়াচের আহবায়ক ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক আইটিডি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এডভাইজার ড. মুহা্মমদ মুসা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।