চব্বিশ কিন্তু হঠাৎ করে হয়নি মন্তব্য করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, এটি ইতিহাসের ধারা, বাস্তবতা এবং অনিবার্য দাবি ছিল। আমরা দেখেছি– মমতাজের মতো ব্যক্তি সে আমাদের এমপি, সে আমাদের পলিসি মেকার। ওবায়দুল কাদেরের মতো একজন সাইকোপ্যাথ, সে ছিল আমাদের এ রাষ্ট্রের পলিসি মেকার। হাসিনার মতো একটা রক্তখেকো, সে বলেছে রক্ত না কি তার নেশা, তার ভয়েজগুলো কিন্তু এখন এসেছে, সে গোয়েন্দা সংস্থা আর প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল, যত ইচ্ছা মেরে ফেল। এ কেমন কথা! একটি রাষ্ট্রের প্রধান, রাষ্ট্রের মানুষের টাকায় সে জীবনযাপন করে, রাষ্ট্রকে তো ধ্বংস করেছে, আবার রাষ্ট্রের মানুষকে বলছে যত ইচ্ছা মেরে ফেল। একটা রাষ্ট্রপ্রধান কিভাবে বলে তার নাগরিকদের মেরে ফেলো? এ ধরনের পলিটিক্স আমরা দেখেছি। এ ধরনের পলিটিক্সকে কবর দেওয়ার জন্যই মূলত চব্বিশ হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি’র সভাপতিত্বে ও শাখা সেক্রেটারি মাইমুনুল হক মামুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক আলাউদ্দীন আবির, জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, সাবেক কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম। জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত সময়ের এমপিরা সংসদে গিয়ে কী করতো, সেটা আমরা দেখেছি। গান গাইতো, সংসদ কি গান গাওয়ার জায়গা? গান গাওয়ার জন্য আপনি শিল্পকলায় যান, কালচারাল প্রোগ্রামের আয়োজন করেন। আমার দেশের মানুষের এত কষ্টে উপার্জিত কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে আপনি বিনোদন করছেন সংসদে, আমরা সেটা দেখেছি।
তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল তাদের বক্তব্যের বেশিরভাগ সময় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ব্যয় করে। অথচ জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল বৈষম্য ও বিভক্তির রাজনীতি সমাধির জন্য। শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা জীবন দিয়েছেন দেশকে বৈষম্যহীন ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য। শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির সম্পর্কে অনেক প্রোপাগান্ডা ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের ওপর নানা ট্যাগিং আরোপ করা হচ্ছে, কিন্তু আমরা এসবের জবাবে সময় নষ্ট করবো না। দেশের কল্যাণ ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাখার বাইতুলমাল সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক বাহাউদ্দীন, অফিস সম্পাদক শাহেদুল মুরসালিন, প্রচার সম্পাদক জাহিদুল আলম জয়।