দেশে বছরে ১৪ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে, যা এ দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। ‘বিশ্ব পানিতে ডোবা প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের এক যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাটি। খবর বিডিনিউজের।
বিশ্বে পানিতে ডুবে যাওয়াকে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ২০২১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২৫ জুলাইকে ‘বিশ্ব পানিতে ডোবা প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করে।
বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, প্রতি বছর পানিতে ডুবে বিশ্বব্যাপী মারা যায় ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। যার প্রতি ১০টি ঘটনার ৯টিই ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। এসব দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
সংস্থাটি জানায়, প্রতি বছর বন্যায় বাংলাদেশের একটি বড় অংশ একটি অংশ তলিয়ে যায়। যার ফলে সচেতনতা ও সাঁতারে দক্ষতার অভাব জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে। গ্রামীণ এলাকার জলাশয়ের আশপাশে বেড়ে ওঠা শিশুরাও প্রতিদিন পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।