গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৩৯৮ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৬৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ সাত হাজার ২৬৫ জনে।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১১৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৪৮ হাজার ৮০৩ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ১৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৫১০টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৯৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৮টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার আট দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৪৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও নারী ছয় জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন। খুলনা ও রংপুর বিভাগে দুই জন করে চার জন। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ১৯ জন। বাড়িতে এক জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৪০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৬১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৫ হাজার ৬৪৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৩ হাজার ৭৭৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৮৭০ জন।