দেশে এলো ফাইজারের টিকা

| মঙ্গলবার , ১ জুন, ২০২১ at ১:০৪ অপরাহ্ণ

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ও সিনোফার্মের পর তৃতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে এসেছে ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গঠিত টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা গতকাল সোমবার রাতে এসে পৌঁছেছে। খবর বিডিনিউজের।
রাত সোয়া ১১টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই টিকা ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। টিকা নিতে বিমানবন্দরে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের তৈরি এই টিকা ইতোমধ্যে দেশে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। ফাইজারের টিকা বিনামূল্যেই পেয়েছে বাংলাদেশ। কোভিশিল্ড বা সিনোফার্মের তৈরি টিকার মতো ফাইজারের টিকাও নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ওপর ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা যাবে। চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালে এ টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে উৎপাদকদের ভাষ্য। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তুলনামূলকভাবে বেশি কার্যকারিতা দেখালেও ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের কাজটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের মতো সহজ নয়। কোভিশিল্ড যেখানে সাধারণ রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা সম্ভব, সেখানে ফাইজারের টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সংরক্ষণ করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে সভা ও দোয়া মাহফিল
পরবর্তী নিবন্ধপতেঙ্গায় পানির দুর্ভোগ লাঘবের উদ্যোগ