দেশে আরও ৬৯ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৬০২৮

নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর তাগিদ

| বুধবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

দেশে করোনাভাইরাসে একদিনে আরও ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, এ সময়ে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ২৮ জন। টানা তিনদিন দৈনিক ৭০ জনের বেশি মৃত্যুর পর গতকাল মঙ্গলবার তা কমল। সোমবার ৮৩ জন, রোববার ৭৮ জন এবং শনিবার একদিনে ৭৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের আলাদা করে আইসোলেশন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংক্রমণের রাশ টানতে আরও বেশি নমুনা পরীক্ষার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, রোগী শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারলে মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। সোমবার দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৩৪ হাজার ৯৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাতে মোট ৭ হাজার ২০১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। অর্থাৎ, পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। নতুন ৬৯ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৯১ জনে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ৮৫৩ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ জন।
নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর তাগিদ: এদিকে রেকর্ড নমুনা পরীক্ষার এই সময়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেকর্ডও নিয়মিত ভাঙছে। সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকায় এই ১৪ দিনের পাঁচ দিনই নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২৩ শতাংশের বেশি। শনাক্তের হার বেশি থাকায় নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। ঢাকা শহরে অ্যান্টিজেন টেস্ট ব্যাপকভাবে বাড়ানো উচিত, কেননা সংক্রমণ এখন অনেক। অ্যান্টিজেন টেস্ট সেখানেই সফল হয়, যেখানে সংক্রমণটা বেশি।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, এমনভাবে টেস্ট করতে হবে, যেন শনাক্তের হার ১০ এর নিচে থাকে। তাহলে সেটা স্ট্যান্ডার্ড হবে। সেজন্য টেস্টও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সংক্রমণ হয়েছে যাদের, তাদের শনাক্ত করে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা গেলে সংক্রমণ ছড়াবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকলোরাডোতে বাংলা বর্ষবরণ
পরবর্তী নিবন্ধব্যাংকে উপচে পড়া ভিড়