দেশ হতে দেশান্তরে

ক্যাবসা না, কাচ্চি জিন্দাবাদ

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ৩ আগস্ট, ২০২৫ at ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ

এই প্রথম নিমন্ত্রিত হলাম এরাবিয়ান পার্টিতে। জানি না আরবের সব জাতিগোষ্ঠীর পার্টিরই ধরনই কী এক? যদি তা হয়ও তবে এর সৌদিরূপ কেমন? তা তো জানি না। আর এক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি আশরাফ পার্টি দিয়েছে রিয়াদে, যার মানে দাড়াচ্ছে ফিলিস্তিনি ও সৌদি পার্টির ধরণ ভিন্ন হয়ে থাকলেও, এখানে নিশ্চিত দুই সংস্কৃতি মিলিয়ে ককটেল জাতীয়ই কিছু একটা হবে। অবশ্য আজকালকার গ্লোবালাইজেশনের যুগে সব জায়গার সংস্কৃতিরই নানান পরতে পরতেই হয়েছে তৈরি নানান ককটেল। শুধুই নানান দেশ তো নয়, মরক্কো থেকে শুরু করে ইরাক পর্যন্ত দুই মহাদেশব্যাপী বিস্তৃত আরব ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিত এই এলাকাটি, যেটি নানান উপজাতি, গোত্র ও বংশে বিভক্ত সেটিকে সংস্কৃতির কোন কোন সুতোয় যে এক সূত্রে গেঁথে এক ও অভিন্ন আরব জাতি বলা যায়, তা তো জানা নাই। জানি যে ভাষাগত ও খেজুরগত মানে খাদ্যাভাসগতভাবে গোটা অঞ্চলটির মধ্যে অনেক মিল আছে, কিন্তু তারপরেও কি আরবসংস্কৃতি নামে কোন সার্বজনীন কিছু আছে? নাহ নিশ্চিত নই! তবে জানি যে পঞ্চাশের দশকে মিশরি সেনাপতি জামাল আবদুল নাসের এক অভিন্ন আরব জাতীয়তাবাদের সূচনা করতে চেয়েছিলেন এই অঞ্চলে, কিন্তু ঘরে বাইরে বিরোধিতার মুখোমুখী হয়ে তা ব্যর্থই হয়েছিল অবশেষে।

নাহ, আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবরে কাজ নাই যেমন, আমারও নাই কাজ ঐ প্যান আরবিজম নিয়ে সময় ও চিন্তাক্ষয়ে তেমন। বরং ভেবে দেখি এই ধরনের দাওয়াতে হাতে করে কী নিয়ে যাওয়া যায়, অন্তত ফিলিস্তিনি সংস্কৃতি মেনে? অবশ্য তাও তো জানি না! আবার এও জানি না এ পার্টির উপলক্ষ কী? আজ কি আশরাফের বিবাহবার্ষিকী? নাকি আজ তার নিজের বা স্ত্রীর কিম্বা বাচ্চাদের কারো জন্মদিন? বাচ্চাদের কথা মনে হতেই ভাবলাম, আরে আমাদের দেশেতো ছেলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খৎনা পার্টিওতো হয়। খৎনার জন্ম যেহেতু আরবভূমির অংশ মিশরে হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০০ অব্দে, তা কি খুব ধুমধামে পালিত হয় এখানে আজো?

নাহ এ বিষয়ে নানাভাবে আশরাফকে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করেও, লাভ হয় নি। আহারে অন্তত উপলক্ষটি জানা থাকলেওতো সুবিধা হতো। তাও জানি না যেহেতু, পড়লাম তাই কী না মরুর বুকে এক্কেবারে সখাত সলিলে!

সে যাক, মোটের উপর কথা হল, পার্টি যাই হোক, আর এ ব্যাপারে আরবের কিম্বা ফিলিস্তিনিদের সংস্কৃতি যাই হোক, নিমন্ত্রিত হিসেবে খালি হাতে যাবো না, এরকম পণের কারনেই ঢুকেছিলাম বাড়ির কাছের শপিংমলের বিশাল এই কারেফো হাইপার স্টোরটিতে। এখানে ঢোকার পর, একে একে নানান সেকশন পেরিয়ে তাজা ফুলের অংশে এসে আনমনেই ভেবেছিলাম, নেব ফুলই। কিন্তু নানান ফুলের তোড়া দেখতে দেখতেই মনে হল, আরে ফুলের জাত, রং নিয়ে তো সংস্কৃতিতে সংস্কৃতিতে আছে নানান ফেরকা। আরবে যে কোন রঙ্গয়ের, কোন ফুল, কী বোঝায়? তাও তো জানি না। নাহ, ভুল রঙ্গয়ের বা জাতের ফুল, ভুল অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার রিস্ক নেয়া ঠিক হবে না।

তা হলে নেই কী? এমনিতে দেশেই গিফট কিনতে গিয়ে পরি ভীষণ ধন্দে সবসময়, আর এ তো হলো মরুভূমি। দেশে তাও অজানা উপলক্ষের দাওয়াতে সোজাসাপটা মিষ্টি কিনে নিয়ে গেলেই হয়, এখানে তাহলে করি কী?

সাথে সাথেই মনে হল, আচ্ছা চকলেট নিয়ে গেলেই তো হয়? চকলেট ঠিক আরবি সংস্কৃতির সাথে না গেলেও সমস্যা তো নাই! ওটা বিশেষত সুইসদের বিপণন কুশলতায় এখন একটা গ্লোবাল গিফটই হয়ে গেছে। ভাবতে ভাবতে বিশাল এই হাইপার মার্কেটের চকলেট সেকশন খুঁজতে খুঁজতে মনে এলো খেজুরেভাবনা।

আরে তাইতো! নিশ্চয় খেজুর বেশ ভাল গিফটই হবে আরবে। এখানে আসার পর বেশ ক’টা অতি উন্নতমানের খেজুরের দোকানও দেখেছি, যে গুলোকে দেখে খেজুর বা ফলের দোকান মনে হয়নি মোটেও। সাজ সজ্জায়, ঠাটে বাটে, হাবে ভাবে, ওইগুলোকে উচ্চমার্গিয় জুয়েলারি শপ বলে ভ্রম হয়েছিল। ওইরকমই একটারই নাম বাতিল, যেটির নামে মনে হয়েছিল এ জন্যই তো বলে, একদেশের বুলি আরেক দেশের গালি। তো সেই বাতিলের একটা ব্রাঞ্চ দেখেছি এই শপিংমলেই। যাবো কি তবে ঐ দোকানেই? অবশ্য দাম যে কী রকম ঐ বুটিক শপের খেজুরের?

যা হয় দাম, হবে! নেবো ওটাই। এ তো শুধু আমার নিজের ব্যাপার না। এর সাথে জড়িত দেশের সম্মানও, অবস্থা যার এখানে এক্কেবারে ফানা ফানা, ছেড়াবেরা! ভাবতে ভাবতে চকলেট সেকশন খোঁজা বাদ দিয়ে এই হাইপার মার্কেট থেকে কোন দিয়ে বেরুলে যাওয়া যাবে সহজে ঐ খাজুইরা বুটিকে সে উদ্দেশ্যে কয়েকটা সেকশন পেরিয়ে সম্ভাব্য বেরুবার পথটিতে এসেই গেলাম পেয়ে সমাধান হাতে হাতে!

আরেহ! চমৎকার সব গিফটপ্যাক সাজিয়ে রাখা আছে দেখি কোনাফা, আর বাক্লাভা নামের আরবি মিষ্টির। যদিও ওসবকে বাংলার মিষ্টির ধারে কাছেও মনে হয় না, তারপরও এই মিষ্টিগুলো ভালই লাগে। তবে এখানকার আমার সবচেয়ে বেশী পছন্দের মিষ্টান্নটি হল “ঊম আলী”। এক্কেবারে পুরোপুরি না হলেও পুরান ঢাকায় ঘনদুধ, চিনি, পাউরুটির সাথে প্রচুর কিসমিস বাদাম সহযোগে শাহীটুকরা বলে যে মিষ্টান্ন বানানো হয়ে, তার সাথে আরবের “উম আলী”র অনেকটাই আছে মিল, খেয়ে মনে হয়েছে। পরিচয় হয়েছিল এ সবগুলোর সাথেই রিয়াদ শহরে আমার প্রলম্বিত ম্যারিয়ট বাসকালে। অতএব দেরী না করে কোনাফা বাক্লাভার চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের একটা কমবো প্যাক নিয়ে, দ্রুত দাম মিটিয়ে চলে এলাম পার্কিংলটে।

গ্রানাডা শপিং মল থেকে একই নামের আমার এক্সপাট কমপ্লেক্স খুব দূরে নয় । মিনিট দশেকের মধ্যেই চলে যাওয়া যাবে। আশরাফ বলেছিল রিয়াদ শহরের এক প্রান্ত ঘেঁষে গড়ে উঠা বিখ্যাত যে রেস্টুরেন্টে হয়েছে তার পাটির্র আয়োজন, সেটিতে যাওয়া খুব সোজা এবং যে কেউ তা দেখিয়েও দিতে পারবে। তাতেও দিককানা আমি এই রাতে নিজে গাড়ী চালিয়ে না গিয়ে, যাবো ট্যাক্সিতে ঠিক করেছিলাম।

সে মোতাবেক সন্ধ্যার বেশ পর পর্যন্ত কাজ করছিলাম অফিসেই। ভেবেছিলাম ওখান থেকেই ট্যাক্সি করে দাওয়াতস্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান শেষে ফিরে, পার্কিং লট থেকে নিজগাড়ি বের করে ফিরবো বাড়ি। কিন্তু যখনই মনে পড়েছিল খালি হাতে যাওয়া যাবে না এবং একই সাথে ভেবেছিলাম স্যুটকোট বাদ দিয়ে, যাবো পাঞ্জাবী পাজামা পরে; মত বদলে তখন গাড়ী নিয়ে চলে এসেছিলাম এদিকটাতে।

বাজে রাত এখন প্রায় ৮ টা। নাহ বাসায় গিয়েই দ্রুত জামা কাপড় বদলে ডাকতে হবে ট্যাক্সি। প্রথম পাওয়া এই দাওয়াতে, লেট লতিফ হতে চাই না। তবে খুব আগে গিয়ে আবার সংস্কৃতিগত ভুল করে যাকে বাংলা বলে ছোঁচা, তা হতে চাই না বলে, এ ব্যাপারে আশরাফকে জিজ্ঞেস করতেই বলেছিল, ওটা নিয়ে চিন্তার কিছু নাই। ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে যে কোন সময়ে পৌছুলেই হবে। সে হিসাবে রওয়ানা করার ব্যাপারে আর দেরী করা যায় না।

তো তা মাথায় রেখে, ঘরে ফিরে জামাকাপড় বদলাতে গিয়ে মনে হলো একটা গোসল দিলে ভাল হয়। দেশেই তো গরমকালে একাধিকবার গোসল করে সুযোগ পেলেই, আর এ তো হলো মরু। অতএব যেই ভাবা, সেই কাজ! ঢুকে গেলাম হাম্মামখানায়। গোসল শেষে পাঞ্জাবী পাজামা পরতে গিয়ে, পাজামায় কোন সমস্যা না হলেও, গায়ে পাঞ্জাবী চড়াতে গিয়ে পরলাম দ্বিধায়। একগাদা পাঞ্জাবির মধ্যে ঠিক কোন পাঞ্জাবিটা পরবো বুঝতে পারছি না। ম্যানেজমেন্টের ভাষায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ মানে হল, যে কোন বিষয়ে নানান বিকল্প তৈরি করে, তা থেকে সবচেয়ে ভাল বিকল্পটি বেছে নেয়া। বেশীরভাগ মানুষেরই দেখা যায় প্রথমত ঐ যে নানান বিকল্প তৈরি করার সক্ষমতা, সেটিই থাকে না। ফলে তারা সিদ্ধান্ত না নিয়ে, যা হয় হবে কপালে ভেবে, নিয়তির ঘাড়ে সিদ্ধান্ত নেবার দায় চাপিয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ নানান বিকল্প তৈরি করতে পারলেও বুঝতে পারে না, কোনটি হবে সবচেয়ে ভাল বিকল্প। ভোগে তাই সিদ্ধান্তহীনতায়। এক্ষেত্রে নানান বিকল্প তো আছেই মজুদ আমার ওয়ারড্রোবে। ভাবছি তাই, কোনটি পরলে একই সাথে যেমন পার্টির সুরের সাথে মিলবে তাল তেমনি পাবে রক্ষা বাংলা সংস্কৃতিরও সম্মান।

নাহ, এ নিয়ে খুব দেরী করা ঠিক না। নানান রঙ্গয়ের কাপড়ের উপর হাতের বা মেশিনে করা ভারী কারুকাজ, হালকা কারুকাজ ও একদম কারুকাজহীন পাঞ্জাবিগুলোর মধ্যে থেকে অবশেষে চড়ালাম গায়ে কারুকাজহীন আদি অকৃত্রিম কুমিল্লা খাদির ঘিয়ে রঙ্গয়ের পাঞ্জাবিই।

এদিকে পাঞ্জাবী গায়ে চড়াতে না চড়াতেই, পেলাম ফোন সিকিউরিটি পোস্ট থেকে যে ট্যাঙি হাজির, কারণ গোসল করে বেরিয়েই তো ট্যাঙি ডেকেছিলাম। অতএব সিকিউরিটিকে ক্লিয়ারেন্স দিয়েই দ্রুত হয়ে গেলাম যাবার জন্য প্রস্তুত।

নাহ, যতো কাছে ভেবেছিলাম পার্টিস্থল, তা তো নয় ওটা, মনে হচ্ছে। আশরাফ যতোই বলে থাকুক না কেন ওখানে পৌঁছানো বেশ সহজ, তাও তো মনে হচ্ছে না। নাকি ড্রাইভার ভাড়ার মিটার বাড়ানো জন্য যাচ্ছে ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে? হয় হোক যা ইচ্ছা তা। ট্যাঙি ড্রাইভারই এখন ভরসা। আসলেই রাস্তা এমন ঘোরানো প্যাঁচানো হয়ে থাকলে নিজে যে ড্রাইভ করে আসার চিন্তা বাদ দিয়েছিলাম, ছিল তা একদম সঠিক!

এরই মধ্যে বার তিনেক অফিসে সেলস টিমের আয়োজনে নিচতলায়, কী কী উপলক্ষে যেন রেস্টুরেন্ট থেকে আসা বিশালাকার গোল ট্রের উপর স্তুপিকৃত পোলাউ উপর শুয়ে থাকা ঝলাশানো নাকি ভাজা আস্ত দুম্বার ডিশ থেকে ক্যাবসা খেলেও, এই প্রথম আসা আমার কোন ক্যাবসা রেস্টুরেন্টে। জানি না শুধু ক্যাবসাই দেবে ওরা, নাকি সাথে থাকবে এরই মধ্যে পরিচিত হওয়া নানান আরবি খাবারও; যেমন আমাদের কাসুন্দির মতো এখানকার হুমুস মানে জলপাই তেল মাখা ছোলা নাকি মটরের পেস্ট, বাবা গানুস মানে পেঁয়াজ মরিচহীন বেগুনভর্তা, ডাল বা সব্জির বড়ার মতো ফালাফেল কিম্বা চটপটির কাছাকাছি জিনিষ ফুল মেডামেস এসবের এক বা একধিক পদ?

মিনিট চল্লিশেক পর রেস্টুরেন্ট প্রাঙ্গণে এসে নামতেই, বেশ বড় সড় এক রুমের মেঝেতে বিছানো লালরঙ্গয়ের নানান ফুল লতা পাতায় কারুকার্যময় মোটা কার্পেট ঘিরে নানান সাইজের কারুকার্যময় কুশন, কোলবালিশ এসবে ঠেস দিয়ে বসে সিগারেটের ধোঁয়ায় ধোঁয়াকার করে সৌদি স্যাম্পেনের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে গল্পগুজবে মত্ত, চেনা অচেনা জনা পচিশ তিরিশ জনের সুধী সমাবেশে আশরাফ আমাকে নিয়ে ঢুকতেই, আমার সালামের জবাবেচতুর্দিক থেকে ‘ওয়ালাইকুম’, ‘মারহাবা’, ‘আহলান ওয়া সাহলান’, ‘ইয়া হাবিবি’ ইত্যকার শব্দ ভেসে এলেও কানে যখনই এলো খলিলের বলা “ইয়া সেলিম, কাম মাই ফ্রেন্ড” ঐ দিকে এগুতেইবা পাশ থেকে কানে এলো, ‘নাইস পাঞ্জাবী ’!

বাহ, কেউ একজন তাহলে এটি চেনে! এই ভেবে সেই শব্দের উৎসের দিকে তাকিয়ে নড করার সাথে হাত বাড়িয়ে দিতেই, ‘হামদান; আশ্রাফ’স কাজিন’ বলে হাত মেলাতে মেলাতে সেই ৬ফুটি সুদর্শন যুবক আওড়ালেন ‘দুধ চা’, ‘কাচ্চি বিরিয়ানি’। তুমুল অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি, এসব জানো কিভাবে?

ঢাকার বাংলাদেশ মেডিক্যাল থেকে পাশ করেছি বছর পাঁচেক আগে। লালমাটিয়ায় থাকতাম। এরা কেউ না জানলেও, আমি জানি ঢাকার কাচ্চির কাছে ক্যাবসা ডাহা ফেইল। আর, এখানে যেভাবে ক্যাবসা দেয়া হয়, তাতে যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হয় খুবই পীড়াদায়ক তা। আহা! কী সুঘ্রান আর স্বাদই না কাচ্চির! তোমাদের সারভিং স্টাইলেও অপচয় নাই। যার যতটুকু দরকার, নেবে। দরকার হলে বারবার নেবে। জানো ঐসব দিনগুলোতে ক্লাসমেটদেরকে বলে, চেয়ে চেয়ে বিয়ের দাওয়াত নিতাম, কাচ্চির লোভে। আশরাফ যখনই বলেছে তুমি আসবে, সেই থেকে অপেক্ষায় ছিলাম তোমার দেখা পাওয়ার। আই লাভ বাংলাদেশ, এন্ড উইল গো সাম ডে, টু হ্যাভ দুধ চা, কাচ্চি এন্ড মিট দ্যাট আন্টি। ওনার বাসায় ভাড়া থাকতাম আমরা যে ক’জন ফিলিস্তিনি ছাত্র তারা তাঁকে আন্টি ডাকলেও, আসলে উনি মা ই ছিলেন। এখন যাও তোমার বন্ধুর কাছে। কথা হবে পরে আরো” বলেই হামদান আমাকে তার হাত টেকে মুক্ত করে দিতেই, নিজের অজান্তেই ফুলে উঠলো বুক গর্বে ও আনন্দে!

লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণসাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমরণ মাঝি ডাকবে একদিন
পরবর্তী নিবন্ধপ্লাস্টিক ও জলাবদ্ধতা