বেশ আগেই ফেলেছিল ফ্লাইট চাকা রিয়াদের মাটিতে। অতপর ধীরে সুস্থে দৌড়ে ফ্লাইট বোর্ডিং ব্রিজে লাগার পর অবস্থান আমার ফ্লাইটের লেজের দিকটায় হওয়ায়, শেষ যাত্রীদের একজন হয়ে বোর্ডিং ব্রিজ পেরিয়ে বিমান বন্দরের মেঝেতে পা রাখতেই মিলল বস ফিলের।
অতএব তার দিকে এগিয়ে যেতেই স্বভাবসুলভ হাসির সাথে চোখ টিপে হাঁটা শুরু করতেই পাশাপাশি নিজেও পা মেলাতে শুরু করলে বললেন অনুচ্চস্বরে “ইউ নো ইন কর্পোরেট লটস ইম্পরট্যান্ট ডিসকাশন অফটেন হেপেন্স নট ইন মিটিং বাট ইন করিডোর। তোমার সাথে আমার কিছু একান্ত আলাপ ছিল যা মিটিং করা যেতো না। তারপর রিসোর্টে ডিনার করার আগ পর্যন্ত দুটো টেলি কনফারেন্স আর কয়েকটা নেটওরাকিং কল করতে হয়েছিল হেড কোয়ার্টারে। ভেবেছিলাম তাই করবো সে আলাপ প্লেনে। কিন্তু এদের চেক ইন মেশিনে ঢুকিয়ে দেয়া সৌদি রেইসিজমের কারনে, বসলাম তো দুজনে দুইপ্রান্তে । তো সেটাই শুরু করছি এখন, কি বলো?”
উত্তরে আমি হাসতেই খুললো ফের মুখ ফিল
“শোন, আমাদের এই মিটিংটা সচরাচর কোম্পানি এক্সিকিউটিভ কমিটির যে মিটিং হয়, তা যে না তো তো বুঝতেই পেরেছো। অবশ্য এখানকার যা প্রসেস আর আমার এক্সিকিউটিভ টিমের নানান সদস্যদের যা অবস্থা তাতে ওটাও তো হয় না নিয়মিত। তবে এখন তা করবো। এটা ছিল আমার কোর টিমের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মিটিং। যদিও এই মিটিংয়ে পলিটিকাল কারণে দুইজনকে এনেছিলাম যারা কোরের অংশ নয়, তবে সে ব্যাপারে পরে আসছি। প্রথমত তুমি যা আলোচনা করেছ দুই দিনে বা অন্যদের আলোচনায় যেভাবে ইনপুট দিয়েছ পরিষ্কার বুঝেছি তাতে, এরই মধ্যে তুমি এখানকার বিগ পিকচার ভালই বুঝে গেছ । আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য করলাম, তুমি বিগ পিকচার থেকে দ্রুতই যে কোন কিছুর এক্সিকিউশনাল ডিটেইলে যেতে পারো । দ্যাটস এ ভেরি গুড নিউজ ফর মি। আচ্ছা তুমি সিঙ্গাপুরে কোন রোলে ছিলে যেন ?”
হেড অব স্ট্রাটেজি, বিজনেস ডেভেলপম্যান্ট এন্ড কি একাউন্ট ম্যানেজম্যান্ট, মিনস থ্রি হেটস অন দিস স্মল হেড!
“ওহ ইয়েস ইয়েস, জাস্ট রিকনফার্মড। সো কিপ ইন মাইন্ড সামথিং মোর আর অন ওয়ে টু ইউর প্লেট। আচ্ছা তুমি সিঙ্গাপুরে আমাদের ভাঙিন ডিভিশনের ভ্যাক্সিন নিয়েও তো কাজ করেছ?”
সিঙ্গাপুরে, বাংলাদেশে দুই জায়গাতেই করেছি। সিঙ্গাপুরে করেছি বিজনেস ডেভলপমেন্টের কাজ আর দেশে করেছি ভ্যাক্সিনের মার্কেটিং ও এন্ড সেলস।
“তাহলে তো কথাই নাই। আচ্ছা তুমি কি ধারণা বাসেল হেড কোয়ার্টার ছেড়ে আমি যখন কান্ট্রি অপারেশনেই এলাম, তখন এই সৌদিই বেছে নিয়েছিলাম কেন?”
নাহ, তা বলতে পারছি না। তবে এরমধ্যে যতটুকু জেনেছি ও বুঝেছি তাতে জানি যে ইউরোপিয়ান আম্রিকানরা বরফহিম ছেড়ে মিডল ইস্টের গরম কড়াইয়ে ঝাঁপ দেয় বিশেষত উচ্চ ট্যাক্সমুক্ত বেতনের জন্য। এছাড়া থাকেও তো তা এখানে তাঁরা রাজার। তবে আমার নিশ্চিত ধারণা ঐ সব ছেদো কারণ অন্তত তোমার ব্যাপারে খাটে না।
এরই মধ্যে ব্যাগ টেনে টেনে দাম্মাম এয়ারপোর্টের তুলনায় ঢের ছোট আর সাধারন মানের রিয়াদ এয়ারপোর্টের আগমনী লাউঞ্জে চলে আসতেই আমি গেইটের দিকে এগুবার উদ্যোগ নিতেই কথার তাল কেটে বলল ফিল, “না না আমরা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে না, গন্তব্য আমাদের আণ্ডার গ্রাউন্ড পার্কিংলটে । চল যাই ঐ লিফটের দিকে ।”
অতপ লিফটের সামনে এসে ওখানে লাইনে থাকা চারজনের পিছনে ফিল আর আমি পর পর দাঁড়াতেই চলমান আলোচনায় যতি টেনে গুন গুন করে গান গাইতে শুরু করলো ফিল। এদিকে ভাবছি আমি, আচ্ছা ফিল তো ফোন করে ড্রাইভারকে উপরে আসতে বলতে পারতো। তা না করে যাচ্ছি কেন নীচে?
এরই মধ্যে লিফট চলে আসতেই, একে একে সবাই তাতে ঢুকে যাওয়ার পর দ্রুতই তা ২ নাকি তিন লেভেল নীচের পার্কিংলটে চলে আসলে, লাইনের পেছনের লোক হবার কারনে দুজনে আগে নেমে, বেশ বড় সড় এই পার্কিং লটের গভিরের দিকে ফিল হাঁটা ধরতেই মনে হল , না ড্রাইভারকে মনে হয় ডাকেনি ফিল, মাঝরাত পেরিয়ে যাওয়া এই সময়ে। নাকি ড্রাইভার ছুটিতে গিয়েছে তার দেশে? ভাবতে ভাবতে ব্যাপারটা তাকে জিজ্ঞেস করতেই বলল
“কি দরকার এই রাত ১টার সময়ে তাকে ডেকে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর?”
তা হলে সে কি সন্ধ্যায় এসে এখানে গাড়ি পার্ক করে রেখে গেছে?
আরে নাহ। এখানে তো ফ্রি পার্কিং, তাই এই দুইদিন এটা এখানেই ছিল। ড্রাইভার আমি তো খুব একটা ব্যাবহার করি না। ড্রাইভিং আমার খুব পছন্দ রিয়াদে অফিস বাসা ছাড়া কোথাও যাই না তো খুব একটা । গেলেও সেলফ ড্রাইভ করি। শুধু আমার স্ত্রী যখন আসে রিয়াদে, তখন তার ভীষণ দরকার পরে। তাই বলেছি তাকে আমার প্রাইম মিনিস্টারের সাথে গড়বড় করা চলবে না। চালাক আছে বেটা। আমার স্ত্রী তার উপর বেশ সন্তুষ্ট !”
এরই মধ্যে গাড়ির কাছে এসে চলে আসতেই, ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটের দিকে এগুতে এগুতে জিজ্ঞেস করলাম তাহলে তো তার কোন কাজ থাকে না অন্যসময়ে। এই বোরিং মরুতে করে কী সে তবে?
“শুনেছি আরেকটা চাকরী নিয়েছে, ওটাই করে হয়তো। আমি কিছু মনে করি না তাতে। বেচারা নিশ্চয় অনেক টাকা খরচ করে এসেছে শ্রীলংকা থেকে। আমার স্ত্রী আসার আগ পর্যন্ত মাস দুই মাস যদি সে আরেকটা চাকরি করে দু পয়সা কামায়, কী ক্ষতি আমার? গরিব মানুষ তো।”
গভীর মনোযোগে এসব কথা শুনতে শুনতে ভাবছিলাম, আচ্ছা এ কি ফিলের কলোনিয়াল প্রপিতামহরা যে অত্যাচার চালিয়েছিল দিকে দিকে নানান কলোনিতে, সে কারণে তার মনের তুমুল অপরাধবোধ থেকে উৎপন্ন উদারতা, নাকি এমনিতেই বিশালদেহি ফিলের মনটাও তার দেহের চাইতেও বিশাল?
“আচ্ছা শোন, ঐ যে যা বলছিলাম,এখানে আমি এসেছি প্রথমত এই মার্কেটটা হল খুবই আনপ্রেডিক্টেবল, সো এঙসাইটিং। দ্বিতীয়ত টু বি পার্ট অব হিস্ট্রি।” গাড়ী স্টার্ট দিয়ে সামনে এগুতে এগুতে এ কথাগুলো বলতেই বললাম
তোমার ঐ ইতিহাসের সাক্ষী হবার বিষয়টা বুঝলাম না ঠিক। একটু ঝেড়ে কাশো তো।
“হুম সেজন্যই তো আমাদের এই একান্ত আলোচনা। কারণ তুমিও তো হতে যাচ্ছ সেই ইতিহাসের অংশ। এটা তো জানো নিশ্চয়ই যে, সৌদিতে সৌদি নাগরিক ভিন্ন ভিনদেশী কেউ কোন বিজনেসের মালিক হতে পারে না?”
হ্যাঁ সেটাই তো জানতাম আবছাভাবে।
“আবছা না ওটাই এক্কেবারে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট আইন। তো এমতাবস্থায় অন্যান্য মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির মতো আমাদের কোম্পানিও আশির দশকের কোন এক সময়ে নিজেরা ইনভেস্ট করে সৌদি ফার্মাসিউটিক্যালস ডিস্ট্রিবিউশন, সংক্ষেপে সাফাদ নামে একটা কোম্পানি বানিয়ে, সেটার মালিকানা এক সৌদি শেখের কাছে হস্তান্তর করে এতো বছর ব্যাবসা করে আসছিল। ইদানীং যেহেতু আমাদের গ্লোবাল স্ট্রাটেজি হল, পৃথিবীর যেখানে যেখানে কোম্পানির যতো এসেট আছে তার সব নিজেদের কন্ট্রোলে নেয়া। কারণ এ করতে গিয়ে কোম্পানির প্রচুর টাকা জলে যাচ্ছে, অন্যদিকে আছে কোম্পানি ননকমপ্লায়েন্সের ঝুঁকিতে। আর সে ঝুঁকি আজকাল কেমন তা তো তুমি জানোই । অথচ সাফাদ সেটির কোনই তোয়াক্কা করছিল না। একদিকে এই মার্কেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,অন্যদিকে এর সৌদি মালিক বিশেষত মার্কেটিং কমপ্লায়েন্সের কোন ধার না ধেরে চালাচ্ছিল সব তার খেয়াল খুশিমতো, তাই আছে এটি হাই প্রায়োরিটি রিস্কি কান্ট্রি অপারেশন হিসেবে। এই ব্যাপারটার সমাধান করার জন্য আমাদের চেয়ারম্যান অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বছর দেড়েক আগে সৌদি রাজার সাথে একটা মেমোরেন্ডাম সই করেছে। সে মোতাবেক আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা এখানে একটা ভাঙিন প্লান্টে ইনভেসট করবোম বিনিময়ে রাজা এখানকার মালিকানা স্বত্ব আইন বদলে আমাদের কে আমাদের এসেট ফিরিয়ে দেবে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার জন্য আরো কয়েকটা কোম্পানির সাথেই এইরকম চুক্তি করেছেন রাজা। তবে সেই রেইসে সবার চেয়ে এগিয়ে আছি আমারই। এখন আমি চাই সে ট্রান্সফ্রমেশনটা এই ডিসম্বরেই শেষ করতে। তা যদি করতে পারি তবে আমরাই হবো সৌদির প্রথম কোম্পানি যাদের মালিকানা আছে খোদ আসল মালিকের হাতে। ব্যাপারটা ঐতিহাসিক না?”
মধ্যরাত পেরুনো জ্যামমুক্ত রাস্তার আলো আধারিতে সামনের দিকে চোখ রেখে গাড়ি চালাতে চালাতে ফিল একটানা এসব বলে আমার মতামত পেতে চকিতে আমার দিকে তাকাতেই বললাম–
অবশ্যই এটা অত্যন্ত ঐতিহাসিক এবং এঙসাইটিং জার্নি ।
“ তুমি, এইচ আর হেড গিউসি, আর সি এফ ও হলে আমার সেই জার্নির কোর টিম মেম্বার। তোমার কাজ তিনটা, প্রথমত এখানকার কমপ্লায়েন্স ফ্রেমওয়ার্ক দাড় করিয়ে তা, এই ধরো সেপ্টেম্বর অক্টোবরের দিকে রোলআউট করা। দ্বিতীয়ত কষ্ট কন্ট্রোল করা। তৃতীয়ত সাফাদের সাথে একটা ব্রিজ নির্মাণ করা। একই সাফাদ বিল্ডিঙয়ে বসলেও আমাদের সম্পর্ক হল চরম শত্রুতামূলক। বিশেষত আমি এখানে আসার পর পরই সাফাদের সৌদি মালিক, এক সুইস যে নাকি একসময় হেড কোয়ার্টারের একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করতো এবং আমাদের চেয়ারমেনের সাথে টক্কর লাগিয়ে যে চাকরী ছেড়ে দিয়েছিল, সেই ব্রুনোকে এনেছে অপারেশনাল হেড করে। উঁই নো ইচ আদার ভেরি ওয়েল সো হেইট ইচ অলসো সেইম ওয়ে। তা এবার তোমার কথা শোনা যাক।”
কোনই সমস্যা নাই। তবে ঘটনা হচ্ছে তুমি যে আমাকে প্রথম দায়িত্বটা নিতে বলছো, তা তো হলো আমাদের ভাষায় যাকে বলে শিয়ালের কাছে মুর্গি বর্গা দেয়া। মানে ব্যাপার যখন সেলস মার্কেটিং কমপ্লায়েন্সের, তো মার্কেটিং হেড হিসাবে সেই দায়িত্ব আমি পালন করতে গেলে কনফ্লিক্ট অব ইনটারেস্ট হয়ে যাবে না ব্যাপারটা?
“আই এম এফ্রেইড সেলিম। আর ইউ সেয়িং বাই পুটিং মাই বেট অন ইউ আই এম কমিটিং এ ব্লান্ডার?’
আরে না না! বস ইজ অলয়েজ রাইট। হাসতে হাসতে আমি উত্তর দিতেই, এলো পাল্টা প্রশ্ন–
“টেল মি আফটার ওয়ার্কিং হিয়ার ফর সাম টাইম, হোয়াটস ইউর টেক অন আওয়ার মেডিক্যাল ডিরেক্টর সামি আজমি?”
হঠাৎ করে এমন প্রশ্ন আসবে আশা করিনি। আর প্রশ্নটা আসতেই সেই যে আমার হার্ডনাট ফাঁকিবাজ টিম মেম্বার আফিফিকে নিয়ে সামি যে দুমুখো সাপের আচরণ করেছিল, মনে পড়লো তা। তারপরও বললাম শুধু, হি ব্রোক মাই ট্রাস্ট।
“দ্যাটস দ্য পয়েন্ট। নাইদার ক্যান আই ট্রাস্ট হিম। তদুপরি আছে সে ঐ সাফাদের ইকামায়। ফলে সে তলে তলে তাদের সাথে তাল মিলায়। তারপরও তাকে এই মিটিং এ রেখেছিলাম, কারণ এখানকার মিশরি মাফিয়ারা তাকে গুরু মানে। তাকে না রাখলে, সে আবার ঐ মিশরিদের মধ্যে মিশরি গিউসির বিরুদ্ধেই বিষোদ্গার করতো। সে ঝুঁকি তো নেয়া যায় না। অতএব তাকে কমপ্লায়েন্সের লিড তো বানাতে পারি না। আর আমার কমপ্লায়েন্স হেডের তো সেই কমপিটেন্সিই নাই। সে তো নেহাতই সাক্ষীগোপাল। অতএব এ ব্যাপারে তোমার উপর ভরসা না করে করবো কার উপরে আর?”
এয়ারপোর্টের মোটামুটি কাছাকাছি হওয়ায় এসময় আমার কমপাউন্ডের সিকিউরিট পোষ্টের দেখা মিলতেই গাড়ির গতি কমাতে কমাতে আরো বলতে থাকলো ফিল-“আই এম নট ফিনিসড উইথ ইউ, ইয়েট। এমতাবস্থায় গভীর এই রাতে তোমার ঘরে চা খেতে খেতে বাকী আলোচনা করি যদি তাতে তোমার ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স নষ্ট হবে না তো?”
আরে কি যে বলো না। এখানে লাইফ কোথায়? লাইফ তো ফেলে এসেছি পেছনে, দেশে। এই মরুতে সবই তো ওয়ার্ক। এছাড়া আমার ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স আমি ভিন্ন অন্য কেউ নষ্ট করতে পারে না, বলেই মানি আমি। এ বিষয়ে কোম্পানির যে নিয়ম আছে তা নিয়ে মাথা ঘমিও না তো। রাদার আই এম ভেরি হ্যাপি টু ওয়েলকাম ইউ এট মাই প্লেস, পাস্ট মিড নাইট বস। এর মধ্যে গেটের অদূরে নির্ধারিত জায়গায় নিয়মমাফিক ফিল তার লেক্সাস জিপ একদম থামিয়ে দিতেই রাতের বেলা ভারী অস্ত্র নিয়ে পাহারায় থাকা এক গার্ড নিদ্রালু চোখের ঘুম মুছতে মুছতে এগুতে লাগলো এদিকে।
লেখক : ভ্রমণসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক