শুক্কুরে শুক্কুরে আটদিন। এই ছিল এইবারের পরিকল্পনা। মানে রওয়ানা করেছিলাম ঢাকা থেকে রিয়াদের উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার, ফিরে যাওয়ার কথা ছিল এই শুক্রবারে। আজ বৃহস্পতিবার, সৌদির সাপ্তাহিক ছুটির দিন। মানে আগামীকাল আমার ফেরত যাবার কথা ছিল। কিন্তু হচ্ছে না তা আর! ভাবছি, এ আমার কপালের দোষ নাকি কর্মদোষ নাকি উভয়ের মিলিত ষড়যন্ত্রের ফল, সঠিক ঠাহর করতে পারছি না !
“কপালের লিখন না যায় খণ্ডন” মানে নিয়তির ব্যাপারে, প্রাচ্যে প্রতিচ্যে, পূর্বে পশ্চিমে, উত্তরে দক্ষিণে কোন দ্বিমত কখনো ছিল বলে মনে করতে পারছি না স্বল্পজ্ঞ এ অধম। এ গ্রহের গোটা মানবসমাজ এই একটা বিষয়ে মনে হচ্ছে একদম একাট্টা, একমত। আর সব তুচ্ছতম থেকে শুরু করে গুরুতর বিষয় নিয়ে মানুষে মানুষে যুগে, যুগে, শতকে শতকে ভয়াবহ রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটলেও, এ নিয়ে যে কোন বিরোধ নাই, আছে সে প্রমান দিকে দিকে রচিত নানান প্রাচীন সাহিত্যে, যেমন তেমনি আছে মুখে মুখে ঘুরে বেড়ানো মিথে ও মনের বিশ্বাসে। তবে ব্যতিক্রম প্রাচীন ভারত। ভারতের শাস্ত্রকারেরা ললাট লিখনকে স্বীকার করে নিয়েও কর্মফলকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেই খোঁজ লুটেরা ব্রিটিশরা উপমহাদেশ দখল করার পর পেয়ে যাওয়াতেই, সংস্কৃত কর্ম ইংরেজিতে “কার্মা” রূপ ধারণ করত ঢুকিয়া পড়িয়াছিল তাহা ইংরেজি অভিধানেই।
শুনেছি এই কার্মা, ১৯৬০ এর দশকে ঝড় তোলা তরুণ হিপ্পিদের কল্যাণে জনপ্রিয় উঠেছিল সমগ্র পশ্চিমে। সেসময় বিশ্ব কাঁপানো বিটলসের জন লেনন, যাঁকে নাকি গুরু মানতেন হিপ্পি সমাজ, তাঁর বিখ্যাত “ইনস্ট্যান্ট কার্মা” গান লিখে, তাতে সুর দিয়ে গেয়ে, খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ১৫০০ বছর আগেকার ঋগবেদে কর্ম বা কর্মফল নামের যে চারাগাছটির অঙ্কুরোদগম হয়েছিল,সেটিকে কি না খ্রিস্টের জন্মের আরো দুইহাজার বছর পরের বিশ্বে এক্কেবারে পুস্পে ফলে মঞ্জরিত না করে তুললেও, অবশ্যই পত্রপল্লবে শাখা প্রশাখায় ভরিয়ে তুলেছিলেন!
আবার অন্যদিকে তার ঠিক কিছুটা আগেই, মানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে দুমড়ে মুচড়ে ভচকে যাওয়া বৈশ্বিক অর্থনীতির চাকা জোরেসোরে ঘোরানোর অভিপ্রায়ে দেশে দেশে যখন আমেরিকান ইউরোপিয়ান কর্পোরেটরা নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করা শুরু করেছিল, তারাও সেই ১৯৫৪/৫৫ সালের দিকে, তাদের কর্পোরেশনের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য, কর্মীদের কর্মফলের দিকেই বিশেষ নজর দিতে শুরু করেছিল। তাতে আজকাল কর্পোরেট সংস্কৃতিতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মীর কর্মফলই হয়ে উঠেছে তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার নিয়ামক। যেগুলোর কেতাবি কর্পোরেট নাম হল যথাক্রমে পারফরমেন্স ম্যানেজম্যান্ট ও ট্যালেন্ট ম্যানেজম্যান্ট। অর্থাৎ কর্পোরেট সংস্কৃতিতে কর্মফলের সাথে ললাট লিখনের আছে আজ সুগভীর যোগসাজশ!
হুম, এ পর্যন্ত যারা পড়েছেন এ লেখা, তাতে অনেকেরই মনে হতে পারে যে, ধান ভানতে গিয়ে শিবের গীত গাওয়া হচ্ছে বিস্তর! আর সে অভিযোগ কেউ যদি মুখ ফুটে অবশেষে করেই বসেন, তা অস্বীকার করবার তো মুখ নাই অধমের। অনেকদিনের কর্পোরেট কামলা আমিতো বেশ আগে থেকেই মনে প্রানে এ কথাই ধারণ করেছি যে, এ জগতে সফল হতে চাইলে, যে কাউকেই তার নিজ গুণের সাথে দোষেরও ব্যাপারেও থাকতে হবে সজাগ, সচেতন। অতএব নিজ বদভ্যাসের ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন আমি। তবে এখানে যেঁ সেই বদভ্যাসের পুনরাবৃত্তি করিনি, সাক্ষাৎ প্রমাণ দিচ্ছি নীচে।
ঘটনাটির সময়কাল ছিল আরো বছর দুয়েক আগে। গিয়েছিলাম সেবার আমার নিয়োগদাতা কোম্পানির হেডকোয়ার্টার সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরে একটা মিটিং এ । সেদিন দুপুরে খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম যখন হেডকোয়ার্টারের বহুজাতিক ক্যান্টিনের দিকে, পথিমধ্যে এক নারী হঠাৎ দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে উঠেছিল
“এই, তুমি তো বাংলাদেশের সেলিম, তাই না?”
একে তো নারী, তদুপরি বিদেশী, সবচেয়ে বড় কথা হলো ঘটনাস্থলও বিদেশ; মোট কথা সব মিলিয়ে এ ঘটনায় নিজেকে হঠাত বেশ কেউকেটা কেউকেটা মনে হতেই, বলা চলে ভির্মিই খেয়ে গিয়েছিলাম। “ কী ব্যাপার! তুমি কি আমাকে চিনতে পারছ না? আরে গত বার ব্যাংককে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সব দেশের বিপণন প্রধানদের নিয়ে যে এসেসমেন্ট সেন্টার হয়েছিল, আমিও তো ছিলাম সেখানে। মনে নাই, আমি জেনিস গোয়াইন।” এবার দ্রুত নিজেকে সামলে সাদা মিথ্যারই আশ্রয় নিতে হল। আসলে এমনকি সেই কৈশোরে, তারুন্যেও দেশিবিদেশি সিনেমার নায়িকাদের দুয়েকজন ছাড়া বেশির ভাগকেই চিনতে পারতাম না আমি সঠিক। কারণ তাদের সবাইকেই সুন্দরই মনে হতো। আছি সেই ধাঁ ধাঁয় আজো। আরে স্বয়ং কবিগুরুই যখন নারী ধাঁধায় পড়ে বলেছেন
“যে মূর্তি নয়নে জাগে সবই আমার ভাল লাগে
কেউ বা দিব্যি গৌর বরণ, কেউ বা দিব্যি কালো
ওগো তোমরা সবাই ভালো ”
সেখানে আমি কোন ছার!
তবে উপরোক্ত ক্ষেত্রে ঐরকম কিছু বলা অবশ্যই ঠিক না। যেহেতু জেনিস মাতৃস্থানিয়া না হলেও, খালা বা ফুফু স্থানিয়াতো অবশ্যই। কি কারনে যে ওনাকে চিনতে ভুল করার পাপ করেছিলাম বুজতে পারছিলাম না। অতএব আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে অবলীলায় সহযাত্রীদের সাথে গল্পে মশগুল থাকার উপর দোষ চাপিয়ে সহাস্যে “হাই জেনিস, চিনব না কেন তোমাকে” বলে বাড়িয়ে দিয়েছিলাম হাত।
“ আজ বিকেল ৪টায় কী তুমি সময় করতে পারবে? কফি খাবো একসাথে। কথা আছে ।“ হাত মেলাতে মেলাতে হাসতে হাসতে জেনিস এ প্রস্তাব দিতেই , সেটি উপেক্ষা করার মতো গাড়লগিরি আর করিনি অবশ্যই। সে বিকেলে কফি খেতে খেতে জেনিসের জিজ্ঞাসা ছিল, “আচ্ছা ঐ এসেসমেন্ট সেন্টারের ফলাফলের ব্যাপারে কিছু জেনেছো কী তুমি তোমার বসের কাছ থেকে ?” বললাম অবশ্যই জেনেছি যে, আমাকে বেশ কিছু ব্যাপারে উন্নতি করতে হবে । যেমন বকাউল্লাহ হওয়ার চেয়ে, শোনাউল্লাহ হতে হবে। ধৈর্য বাড়াতে হবে। পারফেকশনিস্ট হওয়া চলবে না। ইত্যাদি ইত্যাদি
“আরে কী বলছ? শুধু এসবই বলেছে নাকি? এসব তো তোমার ডেভলপমেন্ট এরিয়া । তোমার সক্ষমতা, সম্ভাবনা এসব নিয়ে কিছু বলেনি কিছু ! “তার কথার সুরে আর স্বরে মনে হয়েছিল, পাছে না বুঝি বস আবার ফেঁসে যান! দ্রুত হেসে তাই বলেছিলাম শোন ব্যাপারটা সাংস্কৃতিক । আমাদের সংস্কৃতিতে বানরকে যেমন লাই দেয়া হয় না, তেমনি কারো সক্ষমতা বা সম্ভাবনার কথা বলেও কাউকে মাথায় তোলেন না, গুরুজনেরা, বসেরা। বরং তাদেরকে আরো ভাল করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ঐরকম ছোট খাট দোষ ত্রুটি তুলে ধরাই দস্তুর।
“বুঝেছি, বুঝেছি। থাক ওসব বাদ। তা তুমি বলো, এখন তুমি যা করছ তাতেই কী তুমি সন্তুষ্ট? নাকি উঠতে চাও আরো উপরে? তোমার মধ্যে কিন্তু আরো বড় দায়িত্ব নেবার সম্ভাবনা ও সক্ষমতা দেখতে পেয়েছেন এসেসমেন্ট সেন্টারের এসেসররা। অথচ তুমি আমাকে ঝামেলায় ফেলে রেখেছ !”
আরে কী বলছ? উপরে উঠতে চাইব না মানে ! এমনই বোকা মনে হচ্ছে নাকি আমাকে? আর তওবা তওবা, কোন শত্রুতার কারনেই বা তোমাকে ঝামেলায় ফেলতে যাবো আমি !
“ঝামেলাই তো। সেদিন সিস্টেমে তোমার ডাটা চেক করতে গিয়ে দেখি, তুমি “নন মোবাইল”। সেটাই তো ঝামেলা। এরকম হলে তো চলবে না। বড় দায়িত্বে যেতে হলে “মোবাইল” হতে হবে।
ঘটনা হচ্ছে, গড়পড়তা বুদ্ধিমান ও চালাক বাঙ্গালীর তুলনায় একদিকে আমি যেমন হলাম বেকুব বেপতার, অন্যদিকে এক্কেবারে কূপমণ্ডূক বা ঘরকুনো না হলেও, দেশ ছেড়ে যাবো চলে পাকাপাকিভাবে না হলেও দীর্ঘ দিনের জন্য অন্য কোথাও, এরকম পণ কখনোই ছিল না আমার। বিদেশে যাওয়ার বা বিদেশে ঘোরার সখ অবশ্যই আছে আমার। তীব্র ভাবেই আছে। তবে তা হলো দু চার পাঁচ দশ দিন বা খুব জোর মাস খানেকের জন্য। তারপর অবশ্যই আমি
“দেখিব কাঁঠাল পাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে”
এই হল অবস্থা। অবশ্য এতেই শেষ না। কথায় আছে না, “এমনিতেই নাচুনি বুড়ি তার উপর ঢোলের বাড়ি”র মতো বিবাহিত হবার কিছুকাল পরই আবিস্কার করেছিলাম, আমার উত্তমাধের্র এই অধমের যাবতীয় কিছু নিয়ে যতোই অসন্তোষ দ্বিমত থাকুক না , কেন এই একটা ব্যাপারে দুজনেই আমরা এক্কেবারে একাট্টা একমত, হরিহর আত্মা । ফলে কোম্পানির মানব সম্পদ বিভাগের ডাটা বেইজে নিজেকে আমি “নন মোবাইল” মানে দেশ ছেড়ে যেতে চাই না বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলাম। আর তা নিয়ে এতোদিন ভাল থাকলেও, জেনিস তার নিজের ঝামেলা কমাতে গিয়ে ঝামেলায় ফেলে দিল কী না আমাকেই! একদিকে নিজের উপরের দিকে ওঠার তীব্র আকাঙ্ক্ষা, অন্যদিকে বলছে সে, আমার ঐ নন মোবাইল ব্যাপারটাই এক্ষেত্রে বড় বাঁধা ! মরিয়া হয়ে তাই বলেছিলাম, সমস্যা কী? দেশেই আমাকে দাও না সেই সুযোগ? আমার বস তো কোন না কোনদিন অবসর নেবেনই। সে পর্যন্ত অপেক্ষায় সমস্যা নেই।
“না, তা হবে না। আমাদের পলিসি হল তুমি এখন যে দায়িত্বে আছো, তার থেকে বড় দায়িত্বে যেতে হলে তোমার কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে, নিজেকে প্রমান করতে হবে। নিজ দেশতো তোমার “কমফোর্ট জোন”। ঐরকম উপরে উঠতে হলে শুধু চেনা জানা গণ্ডির ভেতরেই কেউ দুর্দান্ত পারফর্ম করলে চলবে না।”
জেনিসের এ কথায়, লোভী আমার লোভের কাছে বেঘোরে মার খেয়ে গেল অধমের স্বদেশপ্রেম ও সব্জনদের সান্নিধ্যে তীব্র থাকার বাসনা। মরিয়া হয়ে তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম, তা কতো দিনের জন্য যেতে হবে দেশের বাইরে? উত্তরে এসেছিল, কমপক্ষে এক বছর। হাঁফ ছেড়ে বলেছিলাম তাতে, তথাস্তু। অতপর দেশে ফিরেই প্রথম যে কাজ করেছিলাম, তা হল এইচ আর এর ডাটা বেইজে, নিজেকে মোবাইল করে দিয়েছিলাম। যার ফলশ্রুতিতে কয়েকমাসের মধ্যেই সিঙ্গাপুরে একবছরের জন্য এক এসাইনমেন্টে চলে যেতে হয়েছিল।
সেই এসাইনমেন্টে যাওয়ার ব্যাপারটা ঘরে পাশ করাতে ঝুট ঝামেলা হয়েছিল বেজায়। কারন আব্বা এবং স্ত্রী মিলে ঘোরতর জোট বেঁধেছিলেন। তাতে গোঁয়ারের মতো দেখতে দেখতে কেটে যাবে এক বছর, এরকম যুক্তি দিয়ে ছিলাম অটল, নিজ লোভতাড়িত সিদ্ধান্তে।
কিন্তু ২০০৮ সালের পূরোটা সিঙ্গাপুরে কাটিয়ে দেশে ফিরে থিতু হয়ে বসতে না বসতেই, বিনা মেঘে বজ্রাঘাতের মতোই এসেছিল এই সৌদি এসাইনমেন্টের প্রস্তাব, হেডকোয়ার্টারে নবনিযুক্ত আমার ফাংশনাল বস, এরিক ভ্যানহোপ্পেনের কাছে থেকে। সে প্রস্তাব সাথে সাথেই কবুল না করলেও, মানাও করতে পারিনি হায়! বলেছিলাম পরিবারের এবং দেশের ডাইরেক্ট বসের মতামত নিতে হবে। তাতে এরিকের উত্তর ছিল “ খুব খুশি যে তুমি রাজী হয়েছ! এখন তুমি তোমার ঘর সামলাও, আমি সামলাচ্ছি তোমার বস।” অতপর ঘর কিভাবে সামলাবো, এই দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে সে সন্ধ্যায় দুরু দুরু বক্ষে ঘরে ঢুকে প্রথমেই আব্বাকে জানিয়েছিলাম যে, আবার এসেছে ডাক বাইরে থেকে! অসুস্থতার কারণে শুয়ে থাকা আব্বা, তুমুল বিরক্তিতে জিজ্ঞেস করছিলেন আবারো সিঙ্গাপুর না অন্যদেশ? বলেছিলাম না, এবার সৌদি আরব।
শুনেই সহাস্যে ধড়মড় করে শোয়া থেকে ওঠে বসে “আলহামদুলিল্লাহ” বলে মোনাজাত ধরছিলেন আব্বা। তাতেই সেদিন কম্ম কাবার হয়ে যাওয়ায়, এই এক সপ্তাহ আগে এক সপ্তাহের জন্য এসেছিলাম রিয়াদে তা তো বলেছিই আগে। তো সেদিন জেদ্দা থেকে এখানকার বস ফিল রাশ ফেরার পর, গিউসি মানে এখানকার এইচ আর হেড, তাকে জানিয়েছিল যে আমার ভিসা নিতে তার কতো ঝঞ্ঝাট পোহাতে হয়েছিল তার! কারন সৌদিতে বাঙ্গালিদের জন্য হজ্জ, ওমরা ও কামলা ভিসা ছাড়া অন্য ভিসা নই। অথচ আমার জন্য তার বের করতে হয়েছিল, বিজনেস ভিজিট ভিসা! উত্তরে আমিও জানিয়েছিলাম কি ঝঞ্ঝাট হয়েছিল আমারও ঢাকা থেকে সেই ভিসা ইস্যু করাতে! তা শুনে ফিলের কথা ছিল, এতো কষ্ট করে নেওয়া ভিসাটায় যতদিন থাকা যায় থেকেই যাও না ততদিন সেলিম, তাতে তোমাদের দুজনেরই কষ্টের কিছুটা উসুল হয়। সে জন্যই আজ ছুটির দিন সকালে দেরী করে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে ভাবছিলাম হোটেল রুমে বসে যে, এ কী তবে ঘটলো অবশেষে অধমের কর্ম ও ললাট লিখনের দারুণ যোগশাজসে?