দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভে শত শত গর্ত, ঘটছে দুর্ঘটনা

চলতি মাসে দুটি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুজনের

এম এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার | শনিবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার শহরের কলাতলি থেকে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ পর্যন্ত পৌঁছাতে রয়েছে ৮০ কিলোমিটারের দীর্ঘ এক পথ। এক সময় এটি সৌন্দর্য ছড়ালেও রাস্তার মাঝখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। রাস্তার এসব গর্ত ও খানাখন্দ যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। চলতি মাসেই এ সড়কে দুটি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে এক যুবক ও এক কলেজ শিক্ষার্থীর। রয়েছে কয়েকজন আহতও। যারা এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সড়কের একপাশে সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে পাহাড়ের গা ঘেঁষে বহমান ঝর্ণাধারা। মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক কক্সবাজার থেকে খোলা জিপ, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল দিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে হিমছড়ি, ইনানী ও সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিন যায়। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অবহেলার কারণেই ৮০ কিলোমিটারের দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ সড়কের বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার মাঝখানে বিশাল খানাখন্দে যানবাহন চলাচলে দিন দিন অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কোনোভাবেই সংস্কারের উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না কর্তৃপক্ষকে।

সরেজমিনে কয়েকজনের পথচারীদের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তারা জানান, রাস্তার মধ্যখানে বড় পরিসরের খানাখন্দগুলোর কারণেই দিন দিন দুর্ঘটনা বাড়ছে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাগুলো হচ্ছে। এই খানাখন্দ দ্রুত সংস্কার করা না গেলে দুর্ঘটনা জ্যামিতিক হারে বাড়বে।

গাড়ি চালকেরা জানান, বছরে অল্প কয়েকবার সড়কটিতে কাজ করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কাজগুলো নিম্নমানের হওয়ায় বর্ষা আসলেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এই মেরিন ড্রাইভ সড়কে কয়েকশত খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত মেরামতের কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। পর্যটক ও স্থানীয়দের নিয়ে আমরা প্রায় প্রতিদিনই সড়কটিতে যাতায়াত করে থাকি। তবে এখন পর্যটকরা তেমন আগের মতো আনন্দে মেতে উঠতে পারে না। তার কারণ একটিইসড়কে বড় বড় খানাখন্দ।

কক্সবাজার হোটেলমোটেল গেস্ট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, সাগর আর পাহাড়ের মাঝখানে এই সড়ক। যার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত পর্যটকেরা। কক্সবাজারে বেড়াতে আসলেই পর্যটকেরা ছুটে যান এই সড়কের সৌন্দর্য লুপে নিতে। স্থানীয়দের কাছে সড়কটির গুরুত্ব আরও বেশি। সড়কটির তাই দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। না হলে পর্যটন ব্যবসায়ও বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদলের সমর্থন পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগের অর্ধডজন প্রার্থী
পরবর্তী নিবন্ধপ্রত্যেক নাগরিকের দ্রুত বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে