লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫–বি৪ এর ইন্সটলেশন এবং প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে বক্তারা বলেছেন, দুস্থ ও অভাবী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর নামই লায়নিজম। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো চট্টগ্রামের লায়ন সদস্যরাও নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে সাধারণ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর নিরলস চেষ্টা করেন। লায়ন সদস্যরা বিত্ত এবং চিত্তের অপূর্ব সমন্বয়ের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ান। চট্টগ্রামে যুগের পর যুগ ধরে লায়ন সদস্যদের এই নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম চলে আসছে। বক্তারা সমাজের বিত্তবানদের লায়ন সদস্যদের মতো অভাবী, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বক্তারা সামপ্রতিক বর্ষণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিস্তৃত এলাকায় সৃষ্ট বন্যার কথা উল্লেখ করে বহু মানুষই সহায়তার জন্য তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন। তারা বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তার জন্য সর্বস্তরের লায়ন সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর নেভী কনভেনশন সেন্টারে প্রথম কেবিনেট মিটিং এবং অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন সদ্যবিদায়ী গভর্নর লায়ন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। দ্বিতীয় পর্ব জেলা গভর্নর লায়ন এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন্স মাল্টিপল জেলা ৩১৫ এর কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল ওয়াহাব। অনুষ্ঠানে পিডিজি ফোরামের চেয়ারম্যান, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদী সম্পাদক লায়ন এম এ মালেক, লায়ন্স জেলা ৩১৫–বি২ এর গভর্নর লায়ন আহমেদুজ্জামান, লায়ন্স জেলা ৩১৫–বি৩ এর গভর্নর লায়ন ফারহানা নাজ, সদ্য প্রাক্তন মাল্টিপল কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন এস কে কামরুল, মাল্টিপল জিএলটি কো–অর্ডিনেটর লায়ন ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদুর রহমান আজাদ, মাল্টিপল এলসিআইএফ কো–অর্ডিনেটর লায়ন কাজী সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে লায়ন্স জেলা ৩১৫–বি২ এর সদ্য প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন এবিএম আনোয়ারুল বাসেত, লায়ন্স জেলা ৩১৫–এ১ এর প্রথম ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মিয়া, লায়ন্স জেলা ৩১৫–বি১ এর প্রথম ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন মো. আশরাফ হোসাইন হীরা, লায়ন্স জেলা ৩১৫–বি২ এর প্রথম ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন মো. সাইফুল আলম শামীম, লায়ন্স জেলা ৩১৫–এ২ এর দ্বিতীয় ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন শংকর কুমার রয় মোনা, লায়ন্স জেলা ৩১৫– বি২ এর দ্বিতীয় ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন শাহাদাত হোসাইন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের লায়ন নেতৃবৃন্দের মাঝে সাবেক গভর্নর লায়ন নাজমুল হক চৌধুরী, লায়ন রফিক আহমেদ, লায়ন ডা. শ্রী প্রকাশ বিশ্বাস, লায়ন মোহাম্মদ কবীর উদ্দিন ভুঁইয়া, লায়ন মো. নুরুল ইসলাম, লায়ন এস এম শামসুদ্দিন, লায়ন সিরাজুল হক আনসারী, লায়ন মো. মোস্তাক হোসাইন, লায়ন মো. মঞ্জুর আলম মঞ্জু, লায়ন কামরুন মালেক, লায়ন আল সাদাত দোভাষ, কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, ক্যাবিনেট ট্রেজারার লায়ন ইমতিয়াজ ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি লায়ন এ জেড এম সাইফুল ইসলাম টুটুল, জয়েন্ট ট্রেজারার লায়ন ইউসুফ চৌধুরী, জিএলটি ডিস্ট্রিক্ট কো–অর্ডিনেটর লায়ন আশরাফুল আলম আরজু, জিএমটি ডিস্ট্রিক্ট কো–অর্ডিনেটর লায়ন মনির আহমেদ চৌধুরী, জিএসটি ডিস্ট্রিক্ট কো–অর্ডিনেটর লায়ন গাজী মো. শহীদুল্লাহ, এলসিআইএফ কো–অর্ডিনেটর লায়ন আবু মোর্শেদ, জিইটি ডিস্ট্রিক্ট কো–অর্ডিনেটর লায়ন নিশাত ইমরান, লিও লায়ন কো–অর্ডিনেটর লায়ন নূর মোহাম্মদ বাবু প্রমুখ।
অভিষেক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লায়ন জাহাঙ্গীর মিয়া এবং লায়ন ডা. জাকিরুল ইসলাম। অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে ১ম কেবিনেট মিটিং লায়ন্স জেলা গভর্নর লায়ন এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন মো. আবু বক্কর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।