বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের লালমাটিয়ার একটি ফ্ল্যাট, জমি ও তিনটি গাড়ি জব্দের পাশাপাশি ১২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন বলে সংস্থাটির কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন জানান। খবর বিডিনিউজের।
মানিকগঞ্জ–১ আসনের সাবেক এমপি দুর্জয়ের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য্য তার সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদনে বলেন, এমপি থাকাবস্থায় তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোট ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ৭৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড থেকে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা নিয়েছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, তার নিজের নামে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৩টি ব্যাংক হিসাব ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নয়টি ব্যাংক হিসাবে মাধ্যমে মোট ৪৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯০ টাকা জমা হয়েছে। এসব হিসাব থেকে ৪৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৯৬০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ থেকে পাওয়া এই অর্থের উৎস গোপন ও স্থানান্তর, হস্তান্তরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, দুর্জয় তার সম্পদ অন্য কোথাও হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন, সেজন্য স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্জয় ও তার স্ত্রী ফারহানা রহমানের ব্যাংক হিসাব তলব করে দুদক। ৩ অক্টোবর তাদের দুজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এরপর ১৮ ডিসেম্বর দুর্জয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।
