শত কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের একটি মামলায় রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আবেদন করেছে দুদক। গতকাল চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আবদুর রহমানের আদালতে আবেদনটি করা হলেও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামী ৫ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করেছেন বিচারক। দুদক পিপি মো. কবির হোসাইন দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ১৩ জুলাই শত কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের পাশাপাশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ–সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১–এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ফজলে করিমের নামে ২৪ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৩২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের মধ্যে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া গেছে ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৭হাজার ৪৬০ টাকা। বাকি ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকা মূল্যের সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। অর্থাৎ তিনি প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করেছেন।
এজাহারে আরো বলা হয়, আসামি ফজলে করিম মানি লন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে ১২টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনকভাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকা লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৭২ টাকা জমা ও ৫৪ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৭১৮ টাকা তিনি উক্ত ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করেছেন। আওয়ামী সরকার পতনের পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফজলে করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। এরপর থেকে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।