উত্তর কোরিয়া তাদের পশ্চিম উপকূলীয় শহর অনচন থেকে দু্িট স্বল্পপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার সকালের দিকে এ ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ছোড়া হয় বলে বুধবার জানিয়েছে তারা। গতকাল জেসিএসের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, উত্তর কোরিয়া যে শিগগিরই একটি অস্ত্র পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে সিউল সে সংক্রান্ত ইঙ্গিতগুলো শনাক্ত করতে পেরেছিল এবং সার্বক্ষণিক নজর রাখছিল। খবর বিডিনিউজের।
উত্তর কোরিয়ার অত্যাধুনিক অস্ত্র যেমন পারমাণবিক বোমা বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার বিষয়টি জেসিএস প্রায় কাছাকাছি সময়ে জানাতে পারলেও তুলনামূলক কম অত্যাধুনিক বা স্বল্প পাল্লার কিছু অস্ত্রের পরীক্ষার ব্যাপারে তেমনটা করে না।
জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রকাশ্যে এটাই পিয়ংইয়ংয়ের প্রথম কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওয়াশিংটন অবশ্য উত্তর কোরিয়ার এ অস্ত্র পরীক্ষাকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনার দ্বার এখনও খোলা বলে মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন।
অস্ত্র ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা যা করেছে তা তেমন কিছু নয়, এটা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্ত্র পরীক্ষার নিষেধাজ্ঞার আওতায়ও পড়ে না। মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এমনটাই বলেছেন বাইডেন প্রশাসনের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পিয়ংইয়ংয়ের এবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ‘তেমন কিছু বদলায়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তার প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়ার রোববারের পরীক্ষাকে ‘স্বাভাবিক’ অ্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি এ নিয়ে ‘বেশি আওয়াজের’ বিষয়ে সতর্কও করেছেন। ওহাইও সফর শেষে ফেরার পর সাংবাদিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘উসকানিমূলক মনে হয়েছে’ কিনা এমন প্রশ্ন করলে বাইডেন বলেন, না, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তারা (উ. কোরিয়া) যা করেছে এর মধ্যে নতুনত্ব নেই। পেন্টাগন উত্তর কোরিয়ার এবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। জাতিসংঘের উত্তর কোরীয় মিশনের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দিক থেকেও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার এবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্ভবত চলতি মাসে হয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ মহড়ারই প্রতিক্রিয়া।