বাজারে চাহিদা না থাকায় আরো কমল পেঁয়াজের দাম। গত দুইদিনের ব্যবধানে ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সে তুলনায় ক্রেতা নাই। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। চাইলেও মজুদ করে রাখা যায় না। তাই দরপতন হয়েছে। গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি–১ (তাহেরপুরী), বারি–২ (রবি মৌসুম), বারি–৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের সরবরাহ গত কয়েকদিনে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যার ফলে দামও নিম্নমুখী রয়েছে। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। তাই ক্রেতা নাই।
চাক্তাই আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। ফলে দামও নিম্নমুখী। দুইদিনের ব্যধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত।