বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের উপকূল থেকে দুইটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১২জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপ উপকূলের পূর্বদিকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলার দুটির মালিক সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস ও নুর মোহাম্মদ।
নুর মোহাম্মদ জানান, বুধবার কবির মাঝির নেতৃত্বে ছয়জন জেলেকে নিয়ে তার ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের অদূরে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ এলাকায় মাছ শিকারে যায়। এসময় বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার ভোরে ছেঁড়াদ্বীপের কাছাকাছি এলাকা থেকে ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মির সদস্যরা। এ ঘটনায় মাছ ধরার ট্রলার মালিক ও জেলেরা আতঙ্কের মধ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দুটি ট্রলারসহ ১২ জন জেলেকে আটকের খবর ছবিসহ প্রকাশ করে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের বিষয়ে কোস্ট গার্ড ও বিজিবিসহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে জানানো হয়েছে। সেন্টমার্টিন ফিশিং ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন বলেন, আরাকান আর্মি বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া দেড় শতাধিক জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি। এসব জেলে এখনো তাদের হেফাজতে রয়েছে। এর আগে ১৮ নভেম্বর মিয়ানমার জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে বঙ্গোপসাগর থেকে তিনটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১৬ জন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।












