চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার দুই সন্তানকে (একজনের বয়স ১২, আরেক জনের ৭ বছর) জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি এখনো ঝুলে রয়েছে। গত ১৩ জুন দুই সন্তানকে সশরীরে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করতে আদালত আদেশ দিলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছেন মিতুর শ্বশুর ও ভাসুর। দুই সন্তান শিশু হওয়ায় এবং তারা মাগুরা জেলায় থাকায় বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে সশরীরে আসা সম্ভব নয়। শিশু আইন ২০১৩ এর ৪৭ ও ৫৪ ধারা অনুযায়ী ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে তারা গত রোববার একটি আবেদনও করেন। আদালতও তাদের আবেদন আমলে নেন এবং চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে-৭ বিষয়টি অগ্রবর্তী করেন।এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ ও শিশু আদালতের বিচারক ফেরদৌস আরা এ বিষয়ে আংশিক শুনানি করেন। অধিকতর শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ৩০ জুন দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল ইসলাম আজাদীকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মিতু ও বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তবে তারা উভয়ই যেহেতু শিশু সেহেতু বিষয়টি কিছুটা জটিল। এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে আংশিক শুনানি হয়েছে। আগামী ৩০ জুন অধিকতর শুনানি হবে। সেদিনই বাবুলের দুই সন্তানকে তদন্ত কর্মকর্তা সশরীরে নাকি ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তা জানা যাবে।
গত ১৩ জুন মিতুর দুই ছেলেমেয়েকে (মাহির ও টাপুর) তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ জন্য মিতুর শ্বশুর ও ভাসুরকে ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। মিতুর মৃত্যুর পর থেকে বাবুল আক্তারের পরিবারের সাথেই ছিল মিতুর দুই সন্তান।