মধ্যপ্রাচ্য থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আসা যাত্রীরা অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ১ হাজার ৩৫৫ কেজি স্বর্ণ এনেছেন। এর বিপরীতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু গত নভেম্বরেই ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে ৯ হাজার ৩৬৭টি স্বর্ণের বার। প্রতিটি বারের ওজন প্রায় ১১৭ গ্রাম। যা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও বিমানবন্দরটির জন্য বড় একটি মাইলফলক। দেশের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। খবর বাংলানিউজের।
গত ২৬ নভেম্বর যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের বার আনেন, ৬৮৭টি। ১৯ নভেম্বর ছিল ৬৪৫টি। ২৪ নভেম্বর ৬৩৮টি। ১৭ নভেম্বর এসেছিল ৫৭২টি। ১২ নভেম্বর এসেছিল ৫২৩টি। চার শতাধিক স্বর্ণের বার এসেছে ৩, ৫, ১০, ১৪, ২১, ২৭, ২৮ নভেম্বর। সূত্র জানায়, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী প্লেন চলাচল। এরপর নতুন করে ফ্লাইট চালু হলে কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলমের নির্দেশনায় চোরাচালান, রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে কঠোর নজরদারি, রামেজিং (তল্লাশি) ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায় বিমানবন্দর কাস্টমস টিম। তৎপর হয় বিভিন্ন সরকারি সংস্থার লোকজনও। অক্টোবরে ধরা পড়ে দুইটি বড় স্বর্ণের চালান। তারপর থেকেই যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী বৈধভাবে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২টি বার ঘোষণা দিয়ে আনার সুযোগে স্বর্ণ আনার হিড়িক পড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইট আসার পর ইমিগ্রেশন শেষে স্বর্ণের বার আনার ঘোষণা দেওয়া যাত্রীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কাস্টমস বুথ থেকে রশিদ সংগ্রহ করতে হয়।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এম ফরহাদ হোসাইন খানের কাছে জানতে চাইলে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পলিসির কারণে মূলত বৈধপথে স্বর্ণ আনছেন যাত্রীরা। স্বর্ণ আসা যেমন বাড়ছে তেমনি রেমিট্যান্সও বাড়ছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি ও কলকাতা মিলে ৫টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট চালু রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের রেমিট্যান্সযোদ্ধারাই দেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ ২টি করে স্বর্ণের বার আনছেন।