চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান অনুষদের বর্ধিত ভবনের কক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে দুই বিভাগ। যার কারণে কক্ষ বরাদ্দ স্থগিত রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভবনটির চতুর্থ তলার দক্ষিণ ব্লকের প্রায় ৪০টি কক্ষ নিয়ে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব। অনুমতি পেয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ কক্ষগুলোতে সরঞ্জাম ও নেমপ্লেট লাগালে খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বায়োকেমেস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ কক্ষগুলো নিজেদের দাবি করে তার উপর আবার তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে কাটাকাটির ঘটনা ঘটে শিক্ষকদের মধ্যে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হলে দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে সুষ্ঠু অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই বসে সমাধানেরও আশ্বাস দেন।
জানা যায়, ভবনটি নির্মাণের জীববিজ্ঞান অনুষদ ভবনটি পাঁচতলার। চতুর্থ তলায় এ বিভাগ ভাগাভাগি করে শ্রেণি কার্যক্রমসহ যাবতীয় কাজ করে থাকে। উত্তর পাশে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অবস্থান। দক্ষিণ পাশে কাজ চলছিল। কাজ প্রায় শেষের দিকে হওয়ায় কক্ষগুলো ব্যবহারের জন্য অনুষদের ডিনকে অনুমতি আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে গত মাসে কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ সাইডের কক্ষগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এরপর নেমপ্লেট ও তালা লাগায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
খবর পেয়ে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ কক্ষগুলো তাদের দাবি করে পাল্টা তালা লাগিয়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষকরা। এর প্রতিবাদে অনুষদের সামনে অবস্থান করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসানের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের আশ্বাসে সরে যান তাঁরা।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সভাপতি ড. নাজনীন নাহার ইসলাম বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের পর কক্ষগুলো আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দের চিঠি পাওয়ার পর নিয়ম মেনে কক্ষে অবস্থান নিয়েছি। কিন্তু বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ আমাদের ২০ কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এতদিন আমরা বিভিন্ন তলায় কক্ষ ভাগাভাগি কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।
অপরদিকে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সভাপতি ড. আতিয়ার রহমান বলেন, ভবনটি যখন নকশা করা হয়েছে তখন স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে দক্ষিণ সাইডের এ কক্ষগুলো আমার বিভাগের। এখানে অন্তত ৪০ টি কক্ষ রয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ভুল প্রক্রিয়ায় কক্ষগুলো বরাদ্দ নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হোসাইনের সাথে যোগযোগ সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বিভিন্ন তলায় কক্ষ ধার তাদের কাজ চালাচ্ছিল। এ কারণে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে দুই বিভাগের দ্বন্দ্বের কারণে বরাদ্দ স্থগিত রাখা হয়েছে। পরে এ নিয়ে আলোচনা করে সমাধান হবে।