দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব জাফরুল্লাহর

সিআরবিতে হাসপাতালের দরকার নাই

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

দুই বছরের জন্য ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা হলে দেশে সত্যিকার নির্বাচন হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, সত্যিকার ভোট হতে হলে দুই বছরের জন্য একটা জাতীয় সরকার লাগবে। সব পরিবর্তন করতে হবে। জাতীয় সরকার হোক, দেখবেন দুই সপ্তাহের মধ্যে ওষুধের দাম অর্ধেক হয়ে যাবে। না হলে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দেবেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সিআরবিতে আর হাসপাতাল লাগবে না বলেও মন্তব্য করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এছাড়া চট্টগ্রামে ড. মুহম্মদ ইউনূসের ছবি এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর ভাস্কর্য না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিদেশযাত্রা, চট্টগ্রামে নালায় পড়ে মানুষের মৃত্যুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেন। গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং মুহম্মদ আমির উদ্দিন।
সিআরবিতে হাসাপতাল নির্মাণ প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সিআরবিকে, প্রকৃতিকে, আমাদের ফুসফুসকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। সিআরবিতে আর হাসপাতাল লাগবে না। কারণ চট্টগ্রামের ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ও আই হাসপাতাল বিশ্বের একশটা হাসপাতালের মধ্যে থাকবে। ডা. রবিউল হোসেন এটা তৈরি করেছেন। আমার কোন অপারেশন করতে হলে অবশ্যই সেখানে করবো। চট্টগ্রামের মানুষ নিজেদের ভালো নিজেরা বোঝে না। আপনাদের চিকিৎসা নেয়ার জন্য বাইরের কোনো হাসপাতালে যেতে হবে না।
তিনি বলেন, ব্রেন থেকে পা পর্যন্ত অপারেশনের জন্য এক লাখ টাকার ওপর খরচের জায়গা নেই। তিন হাজার টাকার অপারেশনে দুই হাজার টাকা লাভ থাকে। অথচ ঢাকা শহরে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নেওয়া হয়। এসব পরিবর্তন করতে হবে। পরিবর্তন দরকার। জনগণের সরকার দরকার। রাস্তায় নামতে হবে। জনগণের সরকার হলে বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যাবে না। প্রত্যেক লোকের চাকরি হবে। কেউ অভাবে থাকবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ অন্য কোনো দলের ক্ষমতায় আসাটা নাই করে দিয়েছে। এই দেশে আওয়ামী লীগ যারা করে না তাদের দেশের বাংলাদেশের শত্রু, তারা এইভাবে ভাবে। তারা ২০১৮ সালে নিশিরাতের ভোট করেছে। ২০২৩ সালে কিভাবে ভোট করে ধোঁকা দেয়া যায় তার নতুন পরিকল্পনা করছে তারা। তিনি বলেন, তাদের সরাতে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে গণতান্ত্রিক অবস্থায় উত্তরণে ভূমিকা রাখার আহবানও জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই বছর পর পিবিআইয়ের জালে এক আসামি
পরবর্তী নিবন্ধটেকনাফে ৩ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথসহ রোহিঙ্গা আটক