মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবারো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মো. ওসমান (৪৮) নামের হাটহাজারীর আরেক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত নয়টার দিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. মামুন দৈনিক আজাদীকে নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুবাইয়ে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মো. ওসমান উপজেলার মেখল ইউনিয়নের উত্তর মেখল ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আশরাফ আলীর বাড়ির তফাজ্জল হোসেনের পুত্র।
নিহতের চাচাতো ভাই হাটহাজারী কাচারি সড়কস্থ এন জহুর শপিং ও সিটি সেন্টারের স্বত্বাধিকারীরা মো. সরওয়ার মোর্শেদ শুক্রবার রাতে এ প্রতিবেদককে জানান, ওসমানের সংযুক্ত আরব আমিরাতের সারজায় শেয়ারে একটি লেদ মেশিন ওয়ার্ক সপের মালিক ছিলো।
অত্যন্ত বিনয়ী ভদ্র ছেলে ছিলো সে। সে ফজলুল কাদের চৌধুরী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ৯৪ ব্যাচের সাবেক ছাত্র ছিলো। ওসমান জিশান মাহমুদ নামের ছয় বছর বয়সী এক ছেলে ও তিন বছর বয়সী জয়নাব মাহমুদা নামের এক কন্যা সন্তানের বাবা ছিলেন।
গতকাল রাতে আমিরাতের সারজা সানাইয়া এলাকার নিজ প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয় ওসমান। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করর নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে ওসমান বাবা, মা, স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। বর্তমানে তার মরদেহ সারজার একটি হাসপাতালের হিম ঘরে রাখা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দেশে আনা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে মাত্র দুই দিনের মাথায় আবারো একই ইউনিয়নের পাশের এলাকার আরেক প্রবাসীর স্ট্রোক করে মৃত্যুর খবর গ্রামের বাড়ীতে জানাজানি হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
উল্লেখ্য, মাত্র দুইদিন পূর্বে গত রবিবার ১০ নভেম্বর রাতে স্ট্রোক জনিত কারণে একই উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ তজু মিস্ত্রি বাড়ির দুই সন্তানের পিতা সালাউদ্দিনের (৪৫) মৃত্যু হয়। এদিকে শুক্রবার ১৫ নভেম্বর বাদে আছর দুবাইস্থ সোনাপু্রে মরহুম সালাউদ্দিনের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ওইদিন রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট যোগে রওনা হয়ে শনিবার সকালের দিকে তার মরদেহের কফিন চট্টগ্রামের শাহআমানত আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।