ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই–চারটা আসনের জন্য কারো সঙ্গে জোট না করার কথা বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেছেন, দেশের প্রয়োজনে যদি জোট করি, তাহলে যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতার বিচারে সম্মানজনক আসনের ভিত্তিতে হবে। কিন্তু দুই–চারটা আসনের জন্য কারো সঙ্গে জোট করব না। গতকাল শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থী পরিচয় উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের। কারো সঙ্গে জোট হোক বা না হোক ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৫ (নবীনগর) আসন থেকে নজরুল ইসলাম নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি। নুরুল হক নুর বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকার। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করার কথা। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের লড়াকু নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকায় যদি কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয়, তাহলে নির্বাচন পেছনোর, সেটি হয়ত কমিশন এবং সরকার বিবেচনা করবে। অন্যথায় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। ফেব্রুয়ারিতে হোক আর এপ্রিলে হোক, নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাই, কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের নেতারা পুরনো ফ্যাসিস্টদের মতই হুমকি–ধামকি ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতি কায়েম করতে চায়। তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তের মধ্যেই চুরমার হয়ে গেছে। জনগণের প্রতিরোধে নেতারা সীমান্ত দিয়ে, হেলিকপ্টার দিয়ে, নদী–নালা, খাল–বিল যে যেভাবে পারছে পালিয়ে গেছে। তাই আজ যদি কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাদের পরিণতিও কিন্তু তাই হবে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আপনারা দেখেছেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের দুঃশাসনে এদেশের ভিন্ন মত ও দলীয় নেতাদের ওপর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম–ওলামাদের কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করেছে ছাত্র–জনতা। তাই আগামীতে কে ক্ষমতায় আসবে তা নির্ধারণ করবে শ্রমিক–জনতা। প্রথাগত রাজনীতির বাইরে নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাবেন। একমাত্র নতুন নেতৃত্বই পারে বাংলাদেশকে বিনির্মাণ করতে, নতুন কিছু দিতে।










