সেই রতন দাশ অবশেষে তার অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাকে ব্যাটারিগলি থেকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, রতন ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোমিনুল হাসান স্বীকারোক্তি প্রসঙ্গে জানান, রতন জানিয়েছে, সে অস্ত্র মামলায় ঢাকায় দুই বছর জেল খেটে ১৫/২০ দিন আগে বের হয়ে তিনটা চুরি করেছে। এর মধ্যে একটা ব্যাটারিগলি, একটা আসকার দীঘির পাড়ে আর একটা রেল স্টেশন এলাকায়। ব্যাটারিগলির নিচ তলার বাসাটিতে গ্রিল কেটে ঢুকে নগদ ৬০ হাজার টাকা, ৪টি কানের দুল, ২টি স্বর্ণের চেইন, ২টি ব্রেসলেট নিয়েছে। এসময় বাইরে দাঁড়ানো ছিল তার সহযোগী বাদশা। অপর দুই সহযোগী বাবু ও হৃদয় রাস্তায় দাঁড়ানো ছিল। ঘরে ঢুকে সে আলমারির নিচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে শাড়ি টান দেয়। এসময় শাড়ির সাথে ৬০ হাজার টাকা পায়। স্বর্ণগুলো তার এক বন্ধু রাব্বির কাছে রাখতে দিয়েছে। ৬০ হাজার টাকা থেকে বাদশাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে। বিআরটিসি জামতলা বস্তির ইয়াবা ব্যবসায়ী তারা মিয়ার থেকে তারা ইয়াবা কিনত। সে সুবাদে তাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা দিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছে, জামা প্যান্ট কিনেছে আর ইয়াবা খেয়েছে। আসকার দীঘির বাসা থেকেও কিছু টাকা, ঘড়ি ও মোবাইল নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে রতন। পরে তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।