গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভারতেই রয়েছেন, এক সপ্তাহ আগেও সেটি জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও ঠিক কোথায়, কোন হালে অবস্থান করছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি দেশটির সরকার। তবে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, দিল্লির লুটিনস বাংলো জোনের একটি সুরক্ষিত বাড়িতে দুই মাস ধরে থাকছেন শেখ হাসিনা। ভারত সরকারই ওই বাড়িতে তার থাকার বন্দোবস্ত করেছে। বিশালাকার সেই বাংলোতে সাধারণত ভারতের মন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ এমপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকেন। মর্যাদা অনুসারে শেখ হাসিনাকে সেখানেই থাকতে দেওয়া হয়েছে। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কারণে ওই বাড়ির সঠিক অবস্থান বা সড়ক নম্বর প্রকাশ না করার কথা লিখেছে প্রিন্ট। সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, নিরাপত্তার জন্য যথাযথ প্রটোকল নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি মাঝেমধ্যে লোদী গার্ডেনে হাঁটতে যান। খবর বিডিনিউজের।
একটি সূত্র বলছে, শেখ হাসিনা কঠোর নিরাপত্তায় থাকছেন। সাদাপোশাকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে ঘিরে থাকেন। মর্যাদা অনুযায়ী তিনি সেই সুরক্ষা পাচ্ছেন। দুই মাস ধরে তিনি ওই এলাকায় থাকছেন। তার সেখানে থাকার সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুমুল গণআন্দোলনে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট ঘনিষ্ঠদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে ভারতের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে নামেন শেখ হাসিনা। সেখানে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা। যদিও দুই দিনের মধ্যে সেই বিমানঘাঁটি ত্যাগ করেন হাসিনা।
দ্বিতীয় একটি সূত্রের বরাতে প্রিন্ট লিখেছে, ওই বিমান ঘাঁটিতে বেশি সময় তিনি অবস্থান করেননি। তার থাকার ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত ছিল না। যে কারণে কয়েক দিনের মধ্যে তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। তখন দিল্লির নিরাপদ ও সুরক্ষিত এলাকা লুটিনস বাংলোতে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়।