বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভারতে থাকতে হতে পারে। এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮। তবে রাজনৈতিক আশ্রয়ে নয়, দিল্লিতে ভিসার মাধ্যমে থাকতে হবে বাংলাদেশের পদত্যাগী এই সরকারপ্রধানকে।
প্রবল জনরোষ–গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রটিতে আশ্রয় নেওয়ার পর শেখ হাসিনাকে নিয়ে নিয়মিতভাবে খবর প্রকাশ করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। প্রথমে জানা গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা দিল্লি থেকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়াও মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্রও তার ভিসা বাতিল করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ওয়াশিংটন থেকে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও বলেছেন, তার মা আপাতত ভারতেই থাকছেন। খবর বিডিনিউজের।
নিউজ১৮ লিখেছে, শেখ হাসিনা আশ্রয়ের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউরোপের দেশগুলোকে বিকল্প হিসেবে ভাবছেন। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অন্য কোনো দেশ এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা বেছে নিতে পারছেন না। আবার ভারতে আশ্রয় প্রার্থী বা শরণার্থী আইন নেই। আইনিভাবে আমরা কাউকে শরণার্থী বা আশ্রয় প্রার্থীর মর্যাদায় রাখতে পারি না। কোনো ব্যক্তিকে শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থীর মর্যাদা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তখন অধিকার দাবি করেন বা আদালতের দ্বারস্থও হতে পারেন। এতে সমস্যা তৈরি হয়। আমরা যা করি, সেটা হলো কেইস–টু–কেইস ভিত্তিতে ভারতে থাকার অনুমতি দিই। আমরা যদি আইন করি, তাহলে ইরান, আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে কেউ এসে আশ্রয় চাইতে পারে। তারা আদালতে যাবে এবং আদালত সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় নেবে। আর আইন না থাকায় সময় নষ্ট হয় না। গুরুত্ব বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। অর্থাৎ অল্প সময়ে থাকার বন্দোবস্ত হয়ে যায়।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনাপুত্র জয় বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলে শেখ হাসিনা দেশ ফিরবেন। এছাড়া দেশ ছাড়ার আগে সময়ের অভাবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলেও দাবি করেছেন জয়। জয় এখন বলছেন, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের জন্য, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি বিএনপির সঙ্গে কাজ করতেও রাজি।