হাসপাতালের ল্যাবে নেই কোনো টেকনিশিয়ান, নেই যথাযথ প্রটেকশন। কিন্তু প্রতিদিনই রোগীদের এঙরে করে রিপোর্ট দেন তারা। দিনের পর দিন রোগীদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করার তথ্য জানতে পেরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন এবং সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এসময় তথ্যের সত্যতা পাওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয় এক্সরে কার্যক্রম। ঘটনাটি সীতাকুণ্ড পৌরসদরের দক্ষিণ বাইপাস সড়ক এলাকার মডার্ন হাসপাতালের। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এ হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ।
ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, পৌর সদরের মডার্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযানের সত্যতা খুঁজতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে রোগীদের এঙরে করতে দেখে টেকনিশিয়ানের কাগজপত্র দেখতে চাইলে জানা যায় যিনি এঙরে করেন তিনি কোনো টেকনিশিয়ান নন। টেকনিশিয়ান ছাড়া এভাবে এঙরে করে রিপোর্ট দেওয়া আইনত অবৈধ। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালত এঙরে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এছাড়া ঐ হাসপাতালের ফার্মেসিতে বেশি মূল্যে স্যালাইন বিক্রি করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া এদিন অভিযানে রূপক ফার্মেসিকে ৩ হাজার টাকা, লাইফ সেভার নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো লাইসেন্স না পাওয়ায় ১৫ দিন সময় দেয়া হয়।