দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি, ভোগান্তি

আজ ভারী বৃষ্টি হলে পাহাড় ধস ও সাময়িক জলাবদ্ধতার সতর্কতা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ at ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

নগরে গতকালও দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। মাঝারি এ বৃষ্টিতে ভোগান্তি হয়েছে পথচারীদের। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বুধবারও বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অতি ভারী বৃষ্টি হলে পাহাড় ধস এবং সাময়িক জলাবদ্ধতা হতে পারে বলেও সতর্ক করে।

জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। এছাড়া একই সময়ে আমবাগান আবহাওয়া অফিস রেকর্ড করে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ফেনীতে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাঈল ভূঁইয়া জানান, আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ও কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী অথবা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকাসমূহের কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে এবং নগরের কোথাও কোথাও অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল বিকেল ৫টায় আবহাওয়াবিদ খোঃ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গ তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত লঘুচাপটি এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সতর্কবার্তায় চট্টগ্রাম, কঙবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে সকাল ১০ টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা, বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে এতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঢাকা মহানগরে অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কাস্টমসে সার্ভার সমস্যার স্থায়ী সমাধান কবে
পরবর্তী নিবন্ধজামালখানে বহুতল ভবনের সপ্তম তলার ফ্ল্যাটে আগুন