দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের

আজাদী ডেস্ক | শুক্রবার , ১০ জুন, ২০২২ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল ৯ জুন জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের সম্পূরক শুল্ক, আমদানি শুল্ক অথবা মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) কমানো হয়েছে। এতে এসব পণ্য আমদানিতে ব্যয় কমতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে স্বর্ণালঙ্কারের দাম কমতে পারে। মুড়ি ও চিনির ওপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে মুড়ি ও চিনির দাম কমতে পারে। গমের আটার উপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে গমের আটার দাম কমতে পারে।

তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, চার্জার ও ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করায় কমতে পারে দেশি মোবাইল ফোন ব্যাটারি, চার্জার ও ইন্টার‌্যাক্টিভ ডিসপ্লের দাম। পাওয়ার টিলার উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারি এর ওপর প্রযোজ্য শুল্ক কর হ্রাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে কানে শোনার যন্ত্রের ব্যাটারির দাম কমতে পারে। শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সকল ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দাম কমতে পারে বিশেষায়িত হুইল চেয়ারের। দেশে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত শিল্প বিকাশ ও নতুন রপ্তানি খাত সৃষ্টির লক্ষ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এম এস প্রোডাক্টের ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট প্রতি মে. টন ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে করে রডের দাম কমতে পারে।
পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের দাম কমতে পারে। এসি ও নন-এসি সব ধরনের রেস্তোরাঁর ওপর মূসক হার ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশের পরিবর্তে উভয় ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে রেস্তোরাঁর খাবারের দাম কমতে পারে।

নিবন্ধিত হাঁস-মুরগির খামারের ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানির আগাম কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। গোখাদ্যের উৎপাদন ব্যয় কমাতে সুগারকেইন মোলাসেস’র ওপর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পয়ঃশোধনাগারের জন্য আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়ছে। কাঠের বাড়ির আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাড়ছে গাড়ির দাম
পরবর্তী নিবন্ধদাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের