চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (শাখা) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের পক্ষে এবার দাবি আদায় না হলে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন পদধারী বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চবির বুদ্ধিজীবী চত্বরে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের পক্ষে এ ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের পদধারী বেশ কয়েকজন নেতা।
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক ৭টি উপগ্রুপ অংশ নেন। এ সময় ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, একাকার, কনকর্ড, এপিটাফ এবং উল্কার নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে বেশকিছু দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তকরণ। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্যস্থানে ক্রমানুসারে পুনঃমূল্যায়ন করা। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহীত, চাকরীজীবী ও রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া। এ সময় দাবি মেনে নেয়া না হলে পরবর্তীতে সহিংশ আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, গত ৩১ জুলাই রাতে চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে রাজপথের পরীক্ষীত ও ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও বিতর্কিত অনেক জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে আমাদের দাবিগুলো বিবেচনা করে যথাযথ সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু বকর তোহা বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে অযোগ্যদের বাদ দিয়ে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের জন্য দাবি জানিয়েছি আমরা। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো এখনো মেনে নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের দাবিগুলো মেনে না নিলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো আমরা।
এছাড়া মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান, মো. শাওন, রোমেল হুসেন, নেছারুল করিম, সাদেক হুসেন টিপু, সাইফুল ইসলাম সুমন, সৈয়দ আমিন হুসেন, আবরার শাহরিয়ার, আবির ইকবাল, মারুফ উদ্দিন রুকন, এমাদ উদ্দিন, মো. নাইম, হামিদ খান, মারুফ ইসলাম, আইয়ুব আলী ফরাজী, সাজিদুর রহমান আশফি, মাহির মুহাম্মাদ মাহফুজ, সাজ্জাদ আনম পিনন, শোয়াইবুল ইসলাম মাসুদ, আলী আহসান রবিন, আবু হেনা মাসুম কামাল, পারভেজ হাসান সুজন, মাইনউদ্দিন আমান উল্লাহ তাকিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জানান ৯৪ জন পদধারী নেতা। সে সময় তারা তিনটি দাবি জানান। দাবিগুলো আদায় না হলে আগস্টের পর থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দেন।