পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত ৯ মে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ এবং সামরিক অবকাঠামোতে হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হওয়া ১২টি মামলায় শনিবার জামিন পেয়েছেন। দেশটির একটি সন্ত্রাস–দমন আদালত গতকাল শনিবার ইমরান খান এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিকে দাঙ্গা সংশ্লিষ্ট ১৩টি মামলা থেকে জামিন দেন। গত ৯ মে ইসলামাবাদে আদালত চত্বর থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর তার দলের নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। যদিও ওই আন্দোলনের স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র দুই দিন। কিন্তু ওই দুই দিনে পাকিস্তানের একাধিক সামরিক অবকাঠামোতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা করে এবং ওই সব হামলায় জড়িত অভিযোগে পিটিআই এর কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
এনডিটিভি জানায়, এটিসি বিচারপতি মালিক এজাজ আসিফ এক লাখ রুপি জামানতের বিনিময়ে ইমরানকে ১২টি মামলায় জামিন দেন। তিনি বলেন, যেখানে ৯ মের দাঙ্গায় গ্রেপ্তার বাকি সব আসামি জামিন পেয়েছেন সেখানে শুধু ইমরান খানকে আটকে রাখা ন্যায়সঙ্গত নয়। বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন ৭১ বছরের ইমরান। বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ইমরান তার বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এমন এক সময়ে ইমরানের জামিন পাওয়ার খবর এলো যখন সদস্য সমাপ্ত ভোটে দেশজুড়ে তার ও তার দলের তুমুল জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের আগের কয়েকমাসে পিটিআই নেতাকর্মীদের উপর মারাত্মক দমন–পীড়ন, গণ গ্রেপ্তার এবং একের পর এক মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার এবং বিচারে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে বন্দি রাখা, নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়া, দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া সহ সব রকম চেষ্টা করেও ইমরানের দলকে থামানো যায়নি।
দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না পাওয়ায় পিটিআই এর নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছেন।