দাগের চিহ্ন

মিতা দাশ | বৃহস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ছোট্ট হাতের ছোয়ায় যেদিন প্রথম আমার গালে

হাত রেখেছিলি বাবা, সেই দাগ আজো মনে গেঁথে আছে।

ঘুমের ভেতর মায়ের জামা ধরে শক্ত মুষ্টি বেঁধে

নিশ্চিন্তে ঘুমানোর স্মৃতির দাগ আজো মনে পড়ে।

ভয় পেয়ে পড়ে যেতে গিয়ে মাকে শক্ত করে

ধরে ফেলার স্মৃতি আজো ফিরে পাই।

দুরন্তপনায় অতিষ্ঠ হয়ে প্রথম চড় মেরেছিলাম তোর গালে,

কিন্তু সেই চড়ের দাগ আমার মনে আজো ব্যথা হয়ে লেপ্টে আছে।

যেদিন পড়ে গিয়ে তুই ব্যথা পেয়ে কেঁদেছিলি

সেই ব্যথা পাওয়ার কষ্ট আমাকে আজো কাঁদিয়ে দেয়।

প্রথম হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পর তুই আমার

হাত না ছাড়ার সেই আকুতির ছবি আজো চোখে ভাসে।

একে একে বড় হওয়ার বছর, ফলাফল,

পুরস্কার পাওয়ার ছবি সব দাগ আজো অক্ষত।

তুই যে কলিজার টুকরা, তোর হাতের, পায়ের,

শরীরের, শত শত দুষ্টুমির সব দাগের চিহ্ন কী করে ভুলি?

কবে বড় হয়ে গেলি?

কবে তোর হাতের ভাজে আজ আমার

হাতের দাগ দেখা যায়? কবে বাবা হয়ে উঠলি চোখের পলকে?

তোকে মেরে আমি কাঁদতাম, সেই চোখের জলের দাগ

আজোও পরিষ্কার দেখা যায় স্মৃতির পাতায়।

এই কষ্টের দাগ কী করে ভুলি?

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবাল চৌধুরী : সঙ্গীতাকাশে এক উজ্জল নক্ষত্র
পরবর্তী নিবন্ধতুমি সন্ধ্যার মেঘমালা