বেশ কিছুদিন ধরে অফ ফর্মে ছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। ফলে দলের বাইরে ছিলেন দীর্ঘ সময়। এর আগে টুকটাক রান করলেও সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারছিলেন না বিরাট কোহলি। তাই মাথার উপর পড়ছিল বাড়ছিল চাপ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পেলেন স্বস্তির ছোঁয়া। এবারের এশিয়া কাপে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা মিলল তার ব্যাটেই। গত বুধবার রাতে দুবাইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কোহলি। তিনি ৪৪ বলের এই ইনিংসটি সাজান ৩ টি ছক্কা ও ১টি চারের সাহায্যে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশ ইনিংস পর হাফ সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি। একসময় যার ব্যাটে সেঞ্চুরির দেখা মিলত নিয়মিত, তার জন্য এটা নিশ্চয়ই খুব বড় কিছু নয়। তবে রান খরায় সমালোচনার মুখে পড়া ব্যাটসম্যানের জন্য ইনিংসটি স্বস্তি হয়েই আসার কথা। হংকং এর বিপক্ষে ম্যাচের পঞ্চম ওভারে রোহিত শর্মার বিদায়ের পর উইকেটে যান কোহলি। শুরুতে দেখেশুনে খেলে গড়তে থাকেন ইনিংস। একটা সময় ১৮ বলে ১৫ রান ছিল তার। এরপর দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন। মোহাম্মদ গজনফারকে ছক্কা মারার পর মিডউইকেট দিয়ে আইজাজ খানকে মারেন আরেকটি ছক্কা। উনবিংশ ওভারের প্রথম বলে ডাবল নিয়ে ৪০ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন কোহলি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা তার ৩১ তম হাফ সেঞ্চুরি। ফর্মের খোঁজে থাকা বিরাট কোহলিকে গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরের পর বিশ্রাম দেওয়া হয়। মাঝে খেলেননি তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে। বিশ্রাম কাটিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ক্রিকেটে ফিরেছেন এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। গত রোববার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে ৩৪ বলে ১টি ছক্কা ও ৩টি চারের সাহায্যে ৩৫ রান করেছিলেন কোহলি। যদিও সে ম্যাচে ভাগ্য বেশ সহায় ছিল তার পক্ষে। ব্যাট হাতে নেমে প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন স্লিপে। কিন্তু ফিল্ডার সেটা ধরতে পারেনি। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে যান। তারপরও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে দারুন খেলেছেন কোহলি। তার সঙ্গে ৪২ বলে ৯৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ভারতকে ১৯২ রানের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ২৬ বলে ৬৮ রান। ইনিংসে মারেন ৬টি করে চার ও ছক্কা।
