দখল নয়, দলিলই হবে জমির মালিকানা : ভূমিমন্ত্রী

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল সংসদে উত্থাপন

| মঙ্গলবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় সংসদে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল, ২০২৩ ও ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল, ২০২৩ উত্থাপন করা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে বিল দুটো উত্থাপনের প্রস্তাব করেন। বিলদ্বয় উত্থাপন প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বিলের প্রশংসা করে সংসদে উত্থাপনের জন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। খবর বাসসের।

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ বিলটির বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, দখলে থাকলেই মালিকানা হবে না, এর জন্য থাকতে হবে দলিলসহ জমির প্রয়োজনীয় দস্তাবেজ। এমন বিধান করতে জাতীয় সংসদে একটি বিল উপস্থাপন করা হয়েছে।ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধ এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। নাগরিকগণের নিজ নিজ মালিকানাধীন ভূমিতে নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখলসহ প্রাপ্য অধিকারসমূহ নিশ্চিতকরণ, ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং এর প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি সম্পর্কিত অপরাধসমূহ প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, ভূমি সংক্রান্ত কিছু অপরাধের দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে উক্ত আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা এবং ভূমি সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বিধায় সর্বসাধারণ উপকৃত হবেন।

বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল, ২০২৩ বিলটির বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হবে। পরিকল্পিত বালু উত্তোলনের মাধ্যমে নদনদীর নাব্যতা বজায় রাখা, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, সরকারিবেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বালু/মাটির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু/মাটি উত্তোলনের প্রবণতা বন্ধ হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে মর্মে আশা করা যায়।

পরে ভূমিমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলদ্বয় অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবির সেই ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ সিলগালা
পরবর্তী নিবন্ধওমানে সাগরে ডুবে ফটিকছড়ির দুই ভাইয়ের মৃত্যু