উত্তর কোরিয়া বুধবার থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সড়ক ও রেলপথ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে। দুই দেশকে সম্পূর্ণ আলাদা করার চেষ্টায় পিয়ংইয়ং এ পদক্ষেপ নিচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা স্থায়ীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত বন্ধ করে দেবে এবং সীমান্তের নিজেদের অংশের এলাকাগুলোকে সুরক্ষিত করবে।
উত্তর কোরিয়ার ‘দ্য কোরিয়ান পিপলস আর্মি’ (কেপিএ) এ পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ ঠেকাতে একটি আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তাদের দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক মহড়া এবং এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তির উপস্থিতির প্রতিক্রিয়াস্বরূপ এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
কয়েক বছরের মধ্যে দুই কোরিয়ার উত্তেজনা তুঙ্গে থাকার সময়ে উত্তর কোরিয়ার এ পদক্ষেপ বৈরিতা আরও বাড়াবে। উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম কেসিএনএতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কেপিএ বলেছে, কোরীয় উপদ্বীপে বিরাজমান মারাত্মক পরিস্থিতির কারণে ডিপিআরকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় আরও দৃঢ় এবং শক্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সড়ক ও রেল সংযোগ ছিন্নের ঘোষণা মূলত পিয়ংইয়ংয়ের এক প্রতীকী পদক্ষেপ। উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণে যাওয়ার রাস্তা এবং রেলপথ খুব কমই ব্যবহার হয় এবং গত এক বছরে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ আরও বেশি হারে তা আরও কমিয়ে এনেছে। কিছু কিছু ঘটনার জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এর মধ্যে আছে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে উত্তরের পাঠানো শত শত আবর্জনা ভর্তি বেলুন পাঠানোর মতো ঘটনা।